অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ প্রশাসনের পোশাক পরে কেউ অংশ নিয়েছিল কি না, তা তদন্ত করা উচিত।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের প্রচ্ছন্ন নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারতো না।
তিনি আরো বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছিল, এটি একটি অজুহাত ছাড়া কিছু নয়। এর পাশাপাশি তিনি তদন্তের মাধ্যমে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ প্রশাসনের পোশাক পরা কেউ জড়িত ছিল কিনা তা বের করার কথা বলেন।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে কমিশন গঠন করা হয়েছে, যে কমিশন সকল তথ্য বের করে আনবে এবং যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছিল, যেখানে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জন আসামির বিচার শেষ হয়, যার মধ্যে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের রায় প্রদান করা হয়, যার ফলে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিচার কার্যক্রম ২০১০ সালে শুরু হয়েছিল, তবে বর্তমানে সেই বিচার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।