ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা
পর্ব- ২

খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়ের ঘুষ দুর্নীতি ও টেম্পারিংয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

বা দিক থেকে আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়

খুলনা জোনাল অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রশিদের নিকট সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার যাঁচ কাজসহ অন্যান্য কাজ থাকায় অত্যান্ত সুকৌশলে সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি বা সরকারি সম্পত্তি কোনো প্রকার আপীল বা কেস ছাড়াই বিভিন্ন নামে এবং জমির শ্রেণির পরিবর্তনসহ নানান কাজ টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে করিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে। এবারের পর্বে রয়েছে সেই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার জেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজায়। আব্দুর রশিদ সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা হয়ে আলাউদ্দিন প্রদ্বীপ দেখিয়ে মুন্সিগঞ্জ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি কখনো নয় আবার কখনো ছয় এই খেলা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজায় ডিপি ৫০১ খতিয়ানে গিরেন্দ্রনাথ পিং নিতাই লাল ৬৪ হিশ্যস জমি টেম্পারিংয়ের মাধ্যম করা হয়েছে।

ডিপি ৫১৭ নং খতিয়ানে ৭১৫৫ নং হালদাগের ৩৬ শতক জমি ছিল বাড়ী শ্রেণির, কৌশলগত দিক অবলম্বন করে সরকারি কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য ভূমি মালিক হতে অর্থের বিনিময় কোনো কেস ছাড়াই টেম্পারিং এর মাধ্যম বিলন শ্রেণিতে করা হয়েছে।

ডিপি ৫৩২ নং খতিয়ানে ১৪ নং ক্রমিকে আসমা আক্তার ও ১৫ নং ক্রমিক নম্বরে নুরুজ্জামান মল্লিক নামের এর অংশ টেম্পারিং এর মাধ্যম কাটাকাটি করা হয়।

ডিপি ৫৮৪ নং খতিয়ানে ৫৫২৩ নং দাগের ১২ শতক জমি কিভাবে রেকর্ড করা হয়, এটি তদন্ত করলে আসল রহস্য জানা যাবে।

ডিপি ৫৪২ নং খতিয়ানে নীলকান্ত ও আলো রানীর নামে কোনো কেস ছাড়া ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে টেম্পারিং করে নাম বসানো হয়।

ডিপি ৬০৮ নং খতিয়ানে ৫৫৭৭ হাল দাগের ২৯ শতক জমি কোনো কেস ছাড়া খতিয়ানে দেওয়া হয়েছে।

ডিপি ৬৪২ নং খতিয়ানে মালিকদের নামের অংশ কোনো কেস ছাড়াই টেম্পারিং এর মাধ্যম সেই একই খেলার পুনরাবৃত্তি করেছে।

ডিপি ৬৭৮ নং খতিয়ানের ৭১১৮ নং হালদাগের ৬৪ শতক জমি কোনো কেস ছাড়া খতিয়ানের মালিকদের নামে টেম্পারিং এর রেকর্ড করিয়ে দেয়৷

আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়ের এই অপতৎপরতা থামছেই না। এভাবে অবৈধ পন্থায় তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, গড়ছেন টাকার পাহাড়। যেন দেখার কেউ নেই!

আরো অধিকতর তথ্যানুসন্ধানে বের হয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

ঐ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকগণকে এই খেলা দেখানোর সহযোগিতায় রয়েছে খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের বড় বাবু সুজিত রায় পিওন আব্দুর রহিম এবং অফিসার আব্দুর রশিদের ব্যক্তিগত বহিরাগত দালাল আব্দুস সামাদ।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে আব্দুর রশিদ শ্যামনগর উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে “ড্রাসম্যান” হিসেবে চাকুরীকালিন সময়ে সে বিভিন্ন ভূমি মালিকদের দাম্ভিকগতার সাথে বলতেন, “গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা তার নিকট আত্মীয়। তার বিষয় কোনো কিছু করেও লাভ নেই। অধিদপ্তরে তার নিজস্ব লোক আছে।”

ঐ অফিসের বড় বাবু খ্যাত সুজিত রায়ের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় হওয়ায়, খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা নিবাসী সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দ্রকে নিজের নিকট আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেন।

জানা যায়, কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের ঘুষ দুনীতি ও টেম্পারিংয়ের বিষয়ে নানান অভিযোগ দুদকসহ একাধিক দপ্তরে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই খেলার শেষ কোথায়? সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে বের হয়ে আসবে থলের বিডালটি এমনটি দাবী মুন্সিগঞ্জ মৌজার ভূমি মালিকদের।

আগামী পর্বে থাকছে আরো কিছু।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

পর্ব- ২

খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়ের ঘুষ দুর্নীতি ও টেম্পারিংয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

আপডেট সময় ০৮:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

খুলনা জোনাল অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রশিদের নিকট সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার যাঁচ কাজসহ অন্যান্য কাজ থাকায় অত্যান্ত সুকৌশলে সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি বা সরকারি সম্পত্তি কোনো প্রকার আপীল বা কেস ছাড়াই বিভিন্ন নামে এবং জমির শ্রেণির পরিবর্তনসহ নানান কাজ টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে করিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে। এবারের পর্বে রয়েছে সেই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার জেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজায়। আব্দুর রশিদ সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা হয়ে আলাউদ্দিন প্রদ্বীপ দেখিয়ে মুন্সিগঞ্জ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি কখনো নয় আবার কখনো ছয় এই খেলা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজায় ডিপি ৫০১ খতিয়ানে গিরেন্দ্রনাথ পিং নিতাই লাল ৬৪ হিশ্যস জমি টেম্পারিংয়ের মাধ্যম করা হয়েছে।

ডিপি ৫১৭ নং খতিয়ানে ৭১৫৫ নং হালদাগের ৩৬ শতক জমি ছিল বাড়ী শ্রেণির, কৌশলগত দিক অবলম্বন করে সরকারি কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য ভূমি মালিক হতে অর্থের বিনিময় কোনো কেস ছাড়াই টেম্পারিং এর মাধ্যম বিলন শ্রেণিতে করা হয়েছে।

ডিপি ৫৩২ নং খতিয়ানে ১৪ নং ক্রমিকে আসমা আক্তার ও ১৫ নং ক্রমিক নম্বরে নুরুজ্জামান মল্লিক নামের এর অংশ টেম্পারিং এর মাধ্যম কাটাকাটি করা হয়।

ডিপি ৫৮৪ নং খতিয়ানে ৫৫২৩ নং দাগের ১২ শতক জমি কিভাবে রেকর্ড করা হয়, এটি তদন্ত করলে আসল রহস্য জানা যাবে।

ডিপি ৫৪২ নং খতিয়ানে নীলকান্ত ও আলো রানীর নামে কোনো কেস ছাড়া ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে টেম্পারিং করে নাম বসানো হয়।

ডিপি ৬০৮ নং খতিয়ানে ৫৫৭৭ হাল দাগের ২৯ শতক জমি কোনো কেস ছাড়া খতিয়ানে দেওয়া হয়েছে।

ডিপি ৬৪২ নং খতিয়ানে মালিকদের নামের অংশ কোনো কেস ছাড়াই টেম্পারিং এর মাধ্যম সেই একই খেলার পুনরাবৃত্তি করেছে।

ডিপি ৬৭৮ নং খতিয়ানের ৭১১৮ নং হালদাগের ৬৪ শতক জমি কোনো কেস ছাড়া খতিয়ানের মালিকদের নামে টেম্পারিং এর রেকর্ড করিয়ে দেয়৷

আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়ের এই অপতৎপরতা থামছেই না। এভাবে অবৈধ পন্থায় তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, গড়ছেন টাকার পাহাড়। যেন দেখার কেউ নেই!

আরো অধিকতর তথ্যানুসন্ধানে বের হয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

ঐ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকগণকে এই খেলা দেখানোর সহযোগিতায় রয়েছে খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের বড় বাবু সুজিত রায় পিওন আব্দুর রহিম এবং অফিসার আব্দুর রশিদের ব্যক্তিগত বহিরাগত দালাল আব্দুস সামাদ।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে আব্দুর রশিদ শ্যামনগর উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে “ড্রাসম্যান” হিসেবে চাকুরীকালিন সময়ে সে বিভিন্ন ভূমি মালিকদের দাম্ভিকগতার সাথে বলতেন, “গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা তার নিকট আত্মীয়। তার বিষয় কোনো কিছু করেও লাভ নেই। অধিদপ্তরে তার নিজস্ব লোক আছে।”

ঐ অফিসের বড় বাবু খ্যাত সুজিত রায়ের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় হওয়ায়, খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা নিবাসী সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দ্রকে নিজের নিকট আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেন।

জানা যায়, কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের ঘুষ দুনীতি ও টেম্পারিংয়ের বিষয়ে নানান অভিযোগ দুদকসহ একাধিক দপ্তরে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই খেলার শেষ কোথায়? সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে বের হয়ে আসবে থলের বিডালটি এমনটি দাবী মুন্সিগঞ্জ মৌজার ভূমি মালিকদের।

আগামী পর্বে থাকছে আরো কিছু।