ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খানের অনুসারীদের নেতৃত্বে ছিল সাংকেতিক নাম

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী-সন্তান। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাবনায় এক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও পাবনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদি একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর।

মামলার আসামিরা হলেন, পাবনার সুজানগর উপজেলার হাসামপুর গ্রামের শমসের আলী মিয়ার ছেলে ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ (৪৮), তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৪৮) ও ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়ন (২২)। তারা বর্তমানে পাবনা পৌর শহরের সদর হাসপাতাল রোড শালগাড়িয়া এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে ২০২৪ সালের ৮ মে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারী করে দুদক। একই বছরের ৩ জুলাই তিনি দুদক পাবনা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

কমিশনে দাখিলকৃত তার সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, সম্পদ বিবরণীতে ৯ লাখ ৪২ হাজার ২৪০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন আবুল কালাম আজাদ। একইসঙ্গে তিনি অসাধু উপায়ে ১ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখল করছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে, আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে ২০২৪ সালের ৮ মে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারী করা হয়। তিনিও একই বছরের ৩ জুলাই দুদক পাবনা কার্যােলয়ে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, মর্জিনা খাতুন তার স্বামীর অবৈধ আয় দ্বারা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখল করছেন। একই মামলার দ্বিতীয় আসামি আবুল কালাম আজাদ অসাধু উপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনে প্রত্যেক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

এছাড়া আবুল কালাম আজাদ ও মর্জিনা খাতুন দম্পতির ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়ন এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হওয়ায় তার প্রতি গত বছরের ৮ মে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারী করা হয়। তিনিও তার বাবা-মায়ের সাথে একইদিন ৩ জুলাই দুদক পাবনা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, রিয়ন তার পিতার অবৈধ আয় দ্বারা ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখল করছেন। এই মামলার আরেক আসামি তার পিতা আবুল কালাম আজাদ অসাধু উপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা তার পুত্রের নামে উক্ত জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনে প্রত্যেক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দন্ডবিধি’র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় ছেলে ও বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

Verified by MonsterInsights

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় ১০:৫০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাবনায় এক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও পাবনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদি একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর।

মামলার আসামিরা হলেন, পাবনার সুজানগর উপজেলার হাসামপুর গ্রামের শমসের আলী মিয়ার ছেলে ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ (৪৮), তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৪৮) ও ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়ন (২২)। তারা বর্তমানে পাবনা পৌর শহরের সদর হাসপাতাল রোড শালগাড়িয়া এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে ২০২৪ সালের ৮ মে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারী করে দুদক। একই বছরের ৩ জুলাই তিনি দুদক পাবনা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

কমিশনে দাখিলকৃত তার সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, সম্পদ বিবরণীতে ৯ লাখ ৪২ হাজার ২৪০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন আবুল কালাম আজাদ। একইসঙ্গে তিনি অসাধু উপায়ে ১ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখল করছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে, আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে ২০২৪ সালের ৮ মে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারী করা হয়। তিনিও একই বছরের ৩ জুলাই দুদক পাবনা কার্যােলয়ে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, মর্জিনা খাতুন তার স্বামীর অবৈধ আয় দ্বারা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখল করছেন। একই মামলার দ্বিতীয় আসামি আবুল কালাম আজাদ অসাধু উপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনে প্রত্যেক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

এছাড়া আবুল কালাম আজাদ ও মর্জিনা খাতুন দম্পতির ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়ন এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হওয়ায় তার প্রতি গত বছরের ৮ মে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারী করা হয়। তিনিও তার বাবা-মায়ের সাথে একইদিন ৩ জুলাই দুদক পাবনা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, রিয়ন তার পিতার অবৈধ আয় দ্বারা ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখল করছেন। এই মামলার আরেক আসামি তার পিতা আবুল কালাম আজাদ অসাধু উপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা তার পুত্রের নামে উক্ত জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনে প্রত্যেক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দন্ডবিধি’র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় ছেলে ও বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।