বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার সংস্কার কমিশনসমূহের সুপারিশ বিবেচনা করে এবং প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয়েছে।
কমিশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, এবং সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই কমিশন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা এবং গ্রহণের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও শক্তিসমূহের সঙ্গে আলোচনা করবে। কমিশন তাদের সুপারিশ কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের চেষ্টা করবে।
কমিশনের মেয়াদ হবে কার্যক্রম শুরুর তারিখ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত এবং প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
এছাড়া, গত বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এই কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, নতুন কমিশনের প্রথম কাজ হবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জরুরি সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে দ্রুত ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় চূড়ান্ত করা।