ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বিএনপিতে কোনো বেয়াদবের জায়গা থাকবে না: হীরা মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে: মহসিন মিয়া মধু পাবনা জেল সুপারের মানবিকতায় কারাগার থেকে নিজ দেশে ফিরে গেলেন নেপালী যুবক পাবনায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মির্জাপুরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবক গ্রেপ্তার রমজানে ৫০০ জন রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে “মানুষের পাশে আমরা, যশোর” বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০ বিবেকের জাগরণ: কখন আসবে আমাদের চেতনার আলো? রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা বদলগাছীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

শান্তিরক্ষা মিশনে মনোনীত হতে পারবেন না যারা

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ২০২৪ সালের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর সুপারিশ করেছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন (ওএইচসিএইচআর) বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, র‌্যাব, ডিজিএফআই, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা, বিজিবি ব্যাটালিয়ন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর যে সদস্যরা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থান সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ছিলেন, তাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ করা হবে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে একটি শক্তিশালী এবং স্বাধীন মানবাধিকার স্ক্রিনিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে জাতিসংঘ শান্তি মিশন বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কর্মীরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন বা মানবিক বা শরণার্থী আইন লঙ্ঘন, যৌন হয়রানি বা অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত না হন।

এছাড়া, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন সুপারিশ করেছে পুলিশ, গোয়েন্দা, বিজিবি, আনসার ভিডিপি এবং সশস্ত্র বাহিনীর যেসব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের পদ থেকে অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিপর্যয় পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুধুমাত্র সীমিত সময়ের জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কাজে নিযুক্ত করা যেতে পারে বলে বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এছাড়া, দ্রুত সময়ে এক অধ্যাদেশ পাস করে এই ব্যবস্থা কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এভাবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আরও কঠোর নজরদারি ও পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

Verified by MonsterInsights

শান্তিরক্ষা মিশনে মনোনীত হতে পারবেন না যারা

আপডেট সময় ০২:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ২০২৪ সালের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর সুপারিশ করেছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন (ওএইচসিএইচআর) বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, র‌্যাব, ডিজিএফআই, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা, বিজিবি ব্যাটালিয়ন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর যে সদস্যরা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থান সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ছিলেন, তাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ করা হবে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে একটি শক্তিশালী এবং স্বাধীন মানবাধিকার স্ক্রিনিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে জাতিসংঘ শান্তি মিশন বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কর্মীরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন বা মানবিক বা শরণার্থী আইন লঙ্ঘন, যৌন হয়রানি বা অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত না হন।

এছাড়া, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন সুপারিশ করেছে পুলিশ, গোয়েন্দা, বিজিবি, আনসার ভিডিপি এবং সশস্ত্র বাহিনীর যেসব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের পদ থেকে অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিপর্যয় পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুধুমাত্র সীমিত সময়ের জন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কাজে নিযুক্ত করা যেতে পারে বলে বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এছাড়া, দ্রুত সময়ে এক অধ্যাদেশ পাস করে এই ব্যবস্থা কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এভাবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এই প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আরও কঠোর নজরদারি ও পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে।