রাজধানীর শাহবাগে আজও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া তৃতীয় ধাপের প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা তাদের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।
‘তুমি কে আমি কে, শিক্ষক শিক্ষক’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’; ‘হয়তো মোদের যোগদান দেন, নয়তো মোদের জীবন নেন’—এমন নানা স্লোগান দিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়।
আন্দোলনকারী সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বলেন, “আমাদের নিয়োগ বাতিল করে যে রায় দেওয়া হয়েছে সেটি বৈষম্যমূলক। এ সরকারই আমাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে, আবার আমাদের নিয়োগ বাতিল করেছে। এটি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা।” তারা আরও জানান, তারা চান দ্রুত যেন এ রায় বাতিল করা হয় এবং তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়।
এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমাদের এই কর্মসূচি চলতেই থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এখান থেকে আমরা সরব না।”
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালত মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার পরীক্ষায় ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হয়। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয় এবং মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী। এরপর ৩১ অক্টোবর রাতে ফল প্রকাশিত হয়, এবং ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।
১৯ নভেম্বর, হাইকোর্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগপত্র প্রদান স্থগিত করে এবং কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য আদালত রুল জারি করে।