ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পিএসসিকে চাপ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া ডিএসসিসি’র ব্যাটারির দরপত্রে অনিয়ম  :  কর্পোরেশনের ২০ লাখ টাকা গচ্চা এলজিইডির সদর দপ্তরসহ একযোগে ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৫ডাকাতসহ গ্রেফতার-৭: অস্ত্র, গুলি, লুণ্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার রেললাইনের পাশে পড়েছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ নাগরপুরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিরছা ব্রিকসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইউএসটিসিতে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পৈলভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে দুর্নীতি: ঠিকাদারের সাথে এলজিইডি কর্মকর্তারা জড়িত জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ১৫টি ঘর বিলীন, দেড়শ পরিবার নিঃস্ব

অর্থপাচারের মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন অর্থপাচারের মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি তারেক রহমানকেও অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ মামলায় অভিযোগ ওঠে যে, ঘুষ হিসেবে নেওয়া ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৬ জুলাই এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিচার শুরু হয়।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন মামলার রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। তবে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পরে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে মামুনের ৭ বছরের সাজা বহাল থাকলেও তার অর্থদণ্ড ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমানের আইনজীবীরা নতুন আইনি পদক্ষেপ নেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজার মনিটরিং এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, আগামী কোরবানির ঈদেও বাজার মূল্য স্থিতি থাকবে: মাহবুবুর রহমান, সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Verified by MonsterInsights

অর্থপাচারের মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস

আপডেট সময় ০১:০৪:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন অর্থপাচারের মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুরের পাশাপাশি তারেক রহমানকেও অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ মামলায় অভিযোগ ওঠে যে, ঘুষ হিসেবে নেওয়া ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৬ জুলাই এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিচার শুরু হয়।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন মামলার রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। তবে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পরে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই সঙ্গে মামুনের ৭ বছরের সাজা বহাল থাকলেও তার অর্থদণ্ড ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমানের আইনজীবীরা নতুন আইনি পদক্ষেপ নেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।