বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের আসন্ন নির্বাচনের জন্য অতিদ্রুত সংস্কার করে রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে হবে। তিনি এই নির্বাচনকে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার সাধন করে নির্বাচন দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, যাতে জনগণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।”
বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। বৈঠকে বিএনপির আরও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন— আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এই ডিসেম্বরে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আমাদের দেশ ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এখন আমাদের একত্রিত হতে হবে। আমরা সবাই মিলে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব এবং দেশের গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কাজ করব।”
তিনি বলেন, “এখন সময় এসেছে যে, আমাদের দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু দেশ তাদের সহযোগিতা করছে। তবে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ এসব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করবে।”
এছাড়া, খন্দকার মোশাররফ উল্লেখ করেন যে, “বিএনপির নেতারা আজকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের মতামত জানিয়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য একমত হয়েছেন। বিএনপি বিশ্বাস করে, নির্বাচনের জন্য দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী নির্বাচন হতে হবে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া। আমরা চাই জনগণ যেন নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। যদি জনগণ সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে ষড়যন্ত্রকারী এবং তাদের সহযোগী কেউ আর এসব অপকর্ম চালিয়ে যেতে সাহস পাবে না।”
মোশাররফ হোসেন বলেন, “অতএব, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনকালীন সংস্কারের কাজ শুরু করা প্রয়োজন। এটি আমাদের দায়িত্ব, এবং এজন্য আমরা একত্রিত হব।”