জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পাবনায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড- ২০২৪ সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে পাবনা মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, পাবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর এস এম আব্দুল আওয়াল, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নৌপরিবহন অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পাবনা এর কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন মো. তৌফিকুল ইসলাম। ক্যাডেটদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কুচকাওয়াজ চলাকালীন প্রধান অতিথি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে আমন্ত্রিত সকলের অংশগ্রহণে প্রীতিভোজের মাধ্যমে একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়য়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ ক্যাডেট ও আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দক্ষ মেরিন প্রফেশনালদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশে মেরিন একাডেমির সংখ্যা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আমাদের একাডেমি সমূহের মেরিনাররা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জাহাজে কর্মরত রয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন, যা দেশের উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
এ বছর একাডেমির নটিক্যাল বিভাগে ২২ জন এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২২ জন ক্যাডেটসহ সর্বমোট ৪৪ জন ক্যাডেট প্রি-সী কোর্স সম্পন্ন করে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছে বলে জানা গেছে। প্রধান অতিথি সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ ক্যাডেটদের মাঝে পদক বিতরণ করেন।
সকল বিষয়ে সর্বোচ্চমান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল বিভাগ হতে ক্যাডেট মো. রিদওয়ান হাসান কমানড্যান্ট স্বর্ণ পদক, নটিক্যাল বিভাগ হতে ক্যাডেট মো. রিফাত বিন রাজিব এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হতে ক্যাডেট মাহমুদুল হাসান রূপম কমান্ড্যান্ট রৌপ্য পদক প্রাপ্ত হন।
প্রি-সী প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী ক্যাডেটবৃন্দ মেরিন প্রফেশনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে ব্যক্তি, পরিবার ও দেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাধন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।