ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল বোয়ালখালী শাকপুরা প্রবর্ত্তক পাইলট কন্যা বিদ্যাপীঠের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন পেয়ার মোহাম্মদ কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মণিপুরী ললিতকলায় ৭ দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা ছুরিকাঘাতে জখম শিবগঞ্জে ২ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা, দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ড নীলফামারীতে ১৫ মার্চ ৩ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বাংলাদেশে খুনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই: আমানউল্লাহ আমান শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পাঁচ সফল প্রতিবন্ধী নারীকে সম্মাননা প্রদান রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার রায়পুরে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৬

৩ জিম্মি ফেরতের বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ায় দুই পক্ষই একে অপরকে জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে। ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে, হামাস ৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং সেগুলি ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর পরপরই, ইসরায়েল তার কারাগার থেকে অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।

এদিকে, গাজায় টানা ১৫ মাসের বোমা হামলা বন্ধ হওয়ার পর গাজার বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরের দিকে ফিরতে শুরু করেছে। ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই হামলা, যা গাজার ওপর এক ভয়াবহ আঘাত হয়ে উঠেছিল, অবশেষে ২০ জানুয়ারি থেকে শেষ হলো। যুদ্ধবিরতির পর গাজার বাসিন্দারা এখন পুনরায় ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করছেন, তবে তাদের সামনে এখন খাদ্যের অভাব অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।

গাজার জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সাহায্যও আসতে শুরু করেছে। জানা গেছে, এখন থেকে প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে, এবং সেই সাহায্য ইতিমধ্যেই পৌঁছাতে শুরু করেছে। যদিও যুদ্ধবিরতির পর বেঁচে থাকা বাসিন্দারা জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন, তবুও তাদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলা সংকটের শেষ হতে এখনো অনেক সময় লাগতে পারে।

এই যুদ্ধের কারণে গাজায় মোট ৪৬ হাজার ৯১৩ জন ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে, এবং আহত হয়েছেন ১,১০,৭৫০ জনেরও বেশি মানুষ। যুদ্ধবিরতি এই প্রাণহানি এবং ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা আশার আলো নিয়ে এসেছে, কিন্তু গাজার মানুষের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও পুনর্গঠন এখনো অনেক দূরে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া

Verified by MonsterInsights

৩ জিম্মি ফেরতের বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

আপডেট সময় ১০:৩১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ায় দুই পক্ষই একে অপরকে জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে। ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে, হামাস ৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং সেগুলি ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর পরপরই, ইসরায়েল তার কারাগার থেকে অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।

এদিকে, গাজায় টানা ১৫ মাসের বোমা হামলা বন্ধ হওয়ার পর গাজার বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরের দিকে ফিরতে শুরু করেছে। ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই হামলা, যা গাজার ওপর এক ভয়াবহ আঘাত হয়ে উঠেছিল, অবশেষে ২০ জানুয়ারি থেকে শেষ হলো। যুদ্ধবিরতির পর গাজার বাসিন্দারা এখন পুনরায় ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করছেন, তবে তাদের সামনে এখন খাদ্যের অভাব অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।

গাজার জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সাহায্যও আসতে শুরু করেছে। জানা গেছে, এখন থেকে প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে, এবং সেই সাহায্য ইতিমধ্যেই পৌঁছাতে শুরু করেছে। যদিও যুদ্ধবিরতির পর বেঁচে থাকা বাসিন্দারা জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন, তবুও তাদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলা সংকটের শেষ হতে এখনো অনেক সময় লাগতে পারে।

এই যুদ্ধের কারণে গাজায় মোট ৪৬ হাজার ৯১৩ জন ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে, এবং আহত হয়েছেন ১,১০,৭৫০ জনেরও বেশি মানুষ। যুদ্ধবিরতি এই প্রাণহানি এবং ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা আশার আলো নিয়ে এসেছে, কিন্তু গাজার মানুষের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও পুনর্গঠন এখনো অনেক দূরে।