ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ায় দুই পক্ষই একে অপরকে জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে। ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে, হামাস ৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং সেগুলি ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর পরপরই, ইসরায়েল তার কারাগার থেকে অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।
এদিকে, গাজায় টানা ১৫ মাসের বোমা হামলা বন্ধ হওয়ার পর গাজার বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরের দিকে ফিরতে শুরু করেছে। ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই হামলা, যা গাজার ওপর এক ভয়াবহ আঘাত হয়ে উঠেছিল, অবশেষে ২০ জানুয়ারি থেকে শেষ হলো। যুদ্ধবিরতির পর গাজার বাসিন্দারা এখন পুনরায় ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করছেন, তবে তাদের সামনে এখন খাদ্যের অভাব অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।
গাজার জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সাহায্যও আসতে শুরু করেছে। জানা গেছে, এখন থেকে প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে, এবং সেই সাহায্য ইতিমধ্যেই পৌঁছাতে শুরু করেছে। যদিও যুদ্ধবিরতির পর বেঁচে থাকা বাসিন্দারা জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা এবং আশ্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন, তবুও তাদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলা সংকটের শেষ হতে এখনো অনেক সময় লাগতে পারে।
এই যুদ্ধের কারণে গাজায় মোট ৪৬ হাজার ৯১৩ জন ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে, এবং আহত হয়েছেন ১,১০,৭৫০ জনেরও বেশি মানুষ। যুদ্ধবিরতি এই প্রাণহানি এবং ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা আশার আলো নিয়ে এসেছে, কিন্তু গাজার মানুষের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও পুনর্গঠন এখনো অনেক দূরে।