নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের উদ্যোগে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে শাক-সবজি ও ডিমের দাম কমতে শুরু করলেও তেল, মাছ ও মুরগির দামে এখনো স্থিতিশীলতা আসেনি।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি ডজন লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪-১৪৫ টাকায়, অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১২ টাকা। হাঁসের ডিম ও দেশি মুরগির ডিমের দাম যথাক্রমে ২৪০ এবং ২৪০-২৫০ টাকায় রয়েছে।
বাজারে শীতকালীন সবজি আসার কারণে বেশকিছু সবজির দাম ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। প্রতি কেজি বরবটি ৮০, মুলা ৫০-৬০, লতি ৮০, কাঁকরোল ৮০, বেগুন ৮০-১২০ এবং শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। তবে ধনেপাতা ১২০-১৪০ এবং টমেটো ১৮০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের জন্য তা একটু ব্যয়সাপেক্ষ।
কাঁচা মরিচের খুচরা দাম কমে এসেছে ২০০-২২০ টাকায়, যা পাইকারিতে প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে পেঁয়াজ ও আলুর দামে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০-১৩৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম স্থির রয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়।
মাছের বাজারে এখনো দাম চড়া। চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং বোয়াল মাছের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি কেজি। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২০০-২১০ টাকা, এবং সোনালি মুরগি কেজিতে বেড়ে ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারেও তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। ক্রেতারা আশা করছেন, সরকারি মনিটরিং অব্যাহত থাকলে বাজারের এই অস্থিরতা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।