ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
হত্যার ৫ মাস পরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাদের ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান সুনামগঞ্জে চাইনিজ নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত ক্ষেতলালে প্রতিবন্ধী শিশুর ঝুলুন্ত লাশ উদ্ধার জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাক বিদেশে পালানোর সময় বিমানবন্দরে আটক বরিশালে মাদক ব্যবসায়ীর কারাদন্ড শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বরিশালের ১৬ রুটে বাস ধর্মঘট যশোরে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠি মিছিল স্বৈরাচার বাংলাদেশকে লুটপাট করে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে: নাসের রহমান মৌলভীবাজার  কালেক্টরেট স্কুল এণ্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা মৌলভীবাজার অবৈধভাবে পাহাড় ও টিলা কেটে রিসোর্ট তৈরির দায়ে ৬ ব্যক্তিকে ৩ লাখ জরিমানা কমলগঞ্জে বাড়িতে মধ্যরাতে ঢুকে হামলা চালালো একটি ভাল্লুক

পেছাল আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ঋণ ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উঠার কথা ছিল। তবে আইএমএফের বোর্ড সভা পিছিয়ে এখন নতুন তারিখ ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ঋণ ছাড়ের বিষয়টি এক মাস পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আইএমএফের কার্যক্রমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ ছিল, যার কারণে বোর্ড সভার সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এছাড়া, ডলারের দাম বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আইএমএফের কিছু চাপ ছিল, তবে আমরা ইতোমধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে এসেছি।”

অন্যদিকে, আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের শর্ত এবং ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়। তবে এনবিআরের একটি সূত্র দাবি করেছে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাই এনবিআরের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আইএমএফের ৩টি কিস্তি পেয়েছে এবং চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে।

এছাড়া, চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পরিমাণ আরও ৭৫ কোটি ডলার বাড়ানোর অনুরোধও বাংলাদেশ করেছে, যার জন্য আইএমএফ রাজি হয়েছে। তবে এই ঋণের জন্য কিছু কঠোর শর্ত যেমন কর আদায় বাড়ানো এবং নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানিয়েছিলেন, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তারা। তবে, এই ঋণ ছাড়ের জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর শর্ত পূরণের আগে নির্বাহী পর্ষদ সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হত্যার ৫ মাস পরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন

Verified by MonsterInsights

পেছাল আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ

আপডেট সময় ০৭:১২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ঋণ ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উঠার কথা ছিল। তবে আইএমএফের বোর্ড সভা পিছিয়ে এখন নতুন তারিখ ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ঋণ ছাড়ের বিষয়টি এক মাস পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আইএমএফের কার্যক্রমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ ছিল, যার কারণে বোর্ড সভার সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এছাড়া, ডলারের দাম বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আইএমএফের কিছু চাপ ছিল, তবে আমরা ইতোমধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে এসেছি।”

অন্যদিকে, আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের শর্ত এবং ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়। তবে এনবিআরের একটি সূত্র দাবি করেছে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাই এনবিআরের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আইএমএফের ৩টি কিস্তি পেয়েছে এবং চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে।

এছাড়া, চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পরিমাণ আরও ৭৫ কোটি ডলার বাড়ানোর অনুরোধও বাংলাদেশ করেছে, যার জন্য আইএমএফ রাজি হয়েছে। তবে এই ঋণের জন্য কিছু কঠোর শর্ত যেমন কর আদায় বাড়ানো এবং নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানিয়েছিলেন, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তারা। তবে, এই ঋণ ছাড়ের জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর শর্ত পূরণের আগে নির্বাহী পর্ষদ সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।