ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের উপর হামলা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার ৩৫ কেজি বাঘাইড় মাছ ও ১৫ কেজি মিষ্টিতে পোড়াদহ মেলা আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনা রেলওয়ে সেতুতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডি মহাপরিদর্শক পল মার্টিন বরখাস্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করেছে: শশী থারুর বিনামূল্যে ক্যান্সার ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগামী অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যা মামলার রায়: আসিফ নজরুল পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমার সীমাহীন দুর্নীতি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প: পিডি উজ্জ্বল মল্লিক ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্লট হাতিয়ে নিয়েছে ময়মনসিংহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি সম্পাদকসহ সকলের শপদ ও দায়িত্ব গ্রহণ

পেছাল আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ঋণ ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উঠার কথা ছিল। তবে আইএমএফের বোর্ড সভা পিছিয়ে এখন নতুন তারিখ ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ঋণ ছাড়ের বিষয়টি এক মাস পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আইএমএফের কার্যক্রমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ ছিল, যার কারণে বোর্ড সভার সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এছাড়া, ডলারের দাম বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আইএমএফের কিছু চাপ ছিল, তবে আমরা ইতোমধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে এসেছি।”

অন্যদিকে, আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের শর্ত এবং ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়। তবে এনবিআরের একটি সূত্র দাবি করেছে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাই এনবিআরের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আইএমএফের ৩টি কিস্তি পেয়েছে এবং চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে।

এছাড়া, চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পরিমাণ আরও ৭৫ কোটি ডলার বাড়ানোর অনুরোধও বাংলাদেশ করেছে, যার জন্য আইএমএফ রাজি হয়েছে। তবে এই ঋণের জন্য কিছু কঠোর শর্ত যেমন কর আদায় বাড়ানো এবং নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানিয়েছিলেন, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তারা। তবে, এই ঋণ ছাড়ের জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর শর্ত পূরণের আগে নির্বাহী পর্ষদ সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের উপর হামলা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

পেছাল আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ

আপডেট সময় ০৭:১২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ঋণ ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উঠার কথা ছিল। তবে আইএমএফের বোর্ড সভা পিছিয়ে এখন নতুন তারিখ ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ঋণ ছাড়ের বিষয়টি এক মাস পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আইএমএফের কার্যক্রমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ ছিল, যার কারণে বোর্ড সভার সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এছাড়া, ডলারের দাম বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আইএমএফের কিছু চাপ ছিল, তবে আমরা ইতোমধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে এসেছি।”

অন্যদিকে, আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের শর্ত এবং ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়। তবে এনবিআরের একটি সূত্র দাবি করেছে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাই এনবিআরের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আইএমএফের ৩টি কিস্তি পেয়েছে এবং চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে।

এছাড়া, চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পরিমাণ আরও ৭৫ কোটি ডলার বাড়ানোর অনুরোধও বাংলাদেশ করেছে, যার জন্য আইএমএফ রাজি হয়েছে। তবে এই ঋণের জন্য কিছু কঠোর শর্ত যেমন কর আদায় বাড়ানো এবং নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানিয়েছিলেন, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তারা। তবে, এই ঋণ ছাড়ের জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর শর্ত পূরণের আগে নির্বাহী পর্ষদ সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।