শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রবিরোধী নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ প্রদান করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোট বিভাগ। এ সময় এ বছরের ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন তফশীল স্থগিত ঘোষণা করে হাইকোর্টের বিজয় ১নং কোর্টের বিচারপতি আকরাম হোসাইন চৌধুরী ও কে. এম. রাসেদুজ্জামান এর দ্বৈত বেঞ্চ শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ও প্রেসক্লাব এর নির্বাচন কমিশনার তাদের প্রতি ৪ সপ্তাহের ভেতর প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করার কারণে কারণ দর্শনোর রুল ইস্যু করেন।
জানা যায়, এ বছরের ১লা জানুয়ারি শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব থেকে তথ্য প্রাপ্ত হয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব এর নির্বাচন কমিশনার ২৭ জন সাংবাদিকের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন। এতে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব এর যুগ্ম সম্পাদক ও যুগান্তর শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ আবু জাফর সালরাউদ্দিন প্রেসক্লাব এর কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তের ওপর ক্ষুব্ধ হন।
পরে তিনি প্রেসক্লাব এর গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করে বহিস্কৃত এম ইদ্রীস আলীকে সদস্য পদে আনয়ন ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব এর সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী বুলেট, সহ-সভাপতি দিপঙ্কর ভট্যাচার্য লিটন, সদস্য সুভাশ দাস তপন, সুলতান মাহমুদ রাখিবসহ আরও সদস্যদের সদস্য পদ থেকে বাতিল ও স্থগিত করে একপেশী নির্বাচন করার পায়তারার ষড়যন্তের বিরুদ্ধে উপজেলা সমাজসেবা বরাবর ঘোষিত নির্বাচনী তফশীল বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু সমাজসেবা অফিসার ওই আবেদন না মঞ্জুর করেন। পরে তিনি সমাজ সেবা অফিসারের ওই আদেশ এর বিরুদ্ধে সিনিয়র সচিব সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়, শ্রীমঙ্গল সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রীমঙ্গলকে বিবাদী করে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্ট বিভাগের ওই বেঞ্চে রিটকারীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট এর সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজল, এডভোকেট মৃদুল দত্ত ও রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা দীপ্তিসহ আরও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এর মধ্যে শুনানীতে বিচারপতিদ্বয় বিবাদীদের প্রতি রুল ইস্যু করে, সমাজসেবা অফিসারের ওই আদেশ স্থগিত করে নির্বাচনী তফশীল তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।