ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল নিষিদ্ধ হবে: মির্জা ফখরুল বাজিতপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি সাকের, সাধারণ সম্পাদক ফাত্তাহ মির্জাপুরে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” এর পরিবর্তিত নাম “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” বোয়ালখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা কিশোরগঞ্জে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত নবীনগর প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি শান্তি, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল অবৈধভাবে পুকুর খননের মাটি বিক্রির অপরাধে দেড় লাখ টাকা জরিমানা মাগুরায় “ডেভিল হান্ট” অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ জন গ্রেপ্তার ফুলবাড়ীতে সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে অনগ্রসরদের অধিকতর অন্তর্ভুক্তি শীর্ষক কর্মশালা শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ঋতুরাজ বসন্ত বরণ উৎসব এর উদ্বোধন

সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বিপ্লবীদের উপস্থিতি বাড়ানো জরুরী: রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মিজান

দারুসসালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বাংলাদেশি উপাচার্য) এবং সমাজকর্মী প্রফেসর ড. শেখ আসিফ এস. মিজান সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বিপ্লবীদের উপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি নিষ্কর্মাদের বিদায় দেয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি মনে করেন, বিপ্লবীদের চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি সমাজ এবং রাষ্ট্রের বৈপ্লবিক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া, তিনি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকারকে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নির্বাচনী বুলেট ট্রেন চালু করতে হবে। অন্যথায়, দ্রব্যমূল্যেসহ নানান চাপের চাকায় সরকার ও জনগণ পিষ্ট হতে থাকবে।

ড. মিজান বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদা জোড়ালো বক্তব্য প্রদান করেছেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তিনি আন্দোলনের পক্ষে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দুঃসাহসিক লেখালেখি করেন এবং জনগণের ন্যায্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের জ্বালাময়ী কণ্ঠস্বরে পরিণত হন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে, দেশের সমাজ ও রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের জন্য উন্মুক্ত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়া উচিত।

তিনি আরো বলেন, বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে যদি কেউ ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা বলা বা কলম ধরার দুঃসাহস দেখায় তবে সে আসলে ফ্যাসিবাদের জনকদের একজন! এমন ধৃষ্টতা জনগণ মেনে নিবে না।

প্রফেসর ড. শেখ আসিফ এস. মিজান এর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

জরুরী ভিত্তিতে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বিপ্লবের চেতনা ধারণকারীদের উপস্থিতি বাড়ানো ও নিষ্কর্মাদের বিদায় দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিপ্লবীদের চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। একই সাথে যতদ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বর্তমান সরকারকে বিদায় নিতে হবে, অন্যথায় সময়ের ও দ্রব্যমূল্যের চাকায় সরকারকে পিষ্ট হতে হবে।

পরামর্শ:

উন্মুক্ত আলোচনা:
বিভিন্ন মতামত ও চিন্তাধারার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উন্মুক্ত আলোচনা আয়োজন করা যেতে পারে।

জনগণের অংশগ্রহণ:
জনগণকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে তাদের মতামত ও চাহিদা প্রতিফলিত হয়।

দ্রুত পদক্ষেপ:
প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।

2 thoughts on “সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বিপ্লবীদের উপস্থিতি বাড়ানো জরুরী: রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মিজান

  1. Revolution means necessary change of a society and for that you need some time.Change of government is never a solution.If you want some changes which are urgent must be done now.Elected government can’t bring revolutionary Change.Young people are very much welcome but they need some experience to run a country with so much problems especially the external threats.Emotions might not help in true sense to manage a state.Knowledge is very important but they don’t have it.What options are left with us is to reshuffle the cabinet with some really talented guys and a few more youn guys should be included immediately to bring revolutionary character in the government.The Interim Government must be allowed at least a year time to make some urgent reforms.We want to have an election train but not a bullet train.We don’t any accident to happen but a safe journey for the nation.

  2. সময় উপযুক্ত কথা বলেছেন স্যার

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

Verified by MonsterInsights

সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বিপ্লবীদের উপস্থিতি বাড়ানো জরুরী: রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মিজান

আপডেট সময় ১২:২৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

দারুসসালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বাংলাদেশি উপাচার্য) এবং সমাজকর্মী প্রফেসর ড. শেখ আসিফ এস. মিজান সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বিপ্লবীদের উপস্থিতি বাড়ানোর পাশাপাশি নিষ্কর্মাদের বিদায় দেয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি মনে করেন, বিপ্লবীদের চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি সমাজ এবং রাষ্ট্রের বৈপ্লবিক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া, তিনি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকারকে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নির্বাচনী বুলেট ট্রেন চালু করতে হবে। অন্যথায়, দ্রব্যমূল্যেসহ নানান চাপের চাকায় সরকার ও জনগণ পিষ্ট হতে থাকবে।

ড. মিজান বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদা জোড়ালো বক্তব্য প্রদান করেছেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তিনি আন্দোলনের পক্ষে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দুঃসাহসিক লেখালেখি করেন এবং জনগণের ন্যায্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের জ্বালাময়ী কণ্ঠস্বরে পরিণত হন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে, দেশের সমাজ ও রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের জন্য উন্মুক্ত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়া উচিত।

তিনি আরো বলেন, বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে যদি কেউ ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা বলা বা কলম ধরার দুঃসাহস দেখায় তবে সে আসলে ফ্যাসিবাদের জনকদের একজন! এমন ধৃষ্টতা জনগণ মেনে নিবে না।

প্রফেসর ড. শেখ আসিফ এস. মিজান এর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

জরুরী ভিত্তিতে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বিপ্লবের চেতনা ধারণকারীদের উপস্থিতি বাড়ানো ও নিষ্কর্মাদের বিদায় দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিপ্লবীদের চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। একই সাথে যতদ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বর্তমান সরকারকে বিদায় নিতে হবে, অন্যথায় সময়ের ও দ্রব্যমূল্যের চাকায় সরকারকে পিষ্ট হতে হবে।

পরামর্শ:

উন্মুক্ত আলোচনা:
বিভিন্ন মতামত ও চিন্তাধারার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উন্মুক্ত আলোচনা আয়োজন করা যেতে পারে।

জনগণের অংশগ্রহণ:
জনগণকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে তাদের মতামত ও চাহিদা প্রতিফলিত হয়।

দ্রুত পদক্ষেপ:
প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।