বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবছর গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার একটি তালিকা প্রকাশ করে। ২০২৫ সালের ‘এশিয়ান মিলিটারি স্ট্রেন্থ’ শীর্ষক নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়ায় সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের এই রিপোর্টে এশিয়ার ৪৫টি দেশের সামরিক শক্তি মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই র্যাঙ্কিং তৈরি করা হয়েছে ৬০টি আলাদা বিষয়ের ভিত্তিতে, যার মধ্যে সামরিক বাজেট, সৈন্যবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রের উপস্থিতি অন্তর্ভুক্ত। শূন্যের কাছাকাছি যেসব দেশ নম্বর পেয়েছে, তাদের সামরিক শক্তি বেশি বলে গণ্য করা হয়েছে।
এশিয়ার সামরিক শক্তির র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া, যেটি পেয়েছে ০.০৭৮৮ নম্বর। রাশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম সৈন্যবাহিনী রয়েছে তাদের। এর পরেই রয়েছে চীন, যার সামরিক শক্তিও ০.০৭৮৮ নম্বরের সমান। চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনী এবং বৃহত্তম নৌবহর রাখে।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত, যার সামরিক শক্তির সূচক ০.১১৮৪। ভারত একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা সম্পন্ন দেশ, যার কারণে সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সংখ্যা বিশাল।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ রয়েছে ১৭তম স্থানে। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে মোট ৭ লাখ সদস্য নিয়োজিত, যার মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার সক্রিয় সৈন্য রয়েছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ১৭,৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে ২৫,১০০ সদস্য রয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তির র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট উন্নতির পথে রয়েছে, তবে অন্যান্য দেশের সামরিক শক্তির তুলনায় এখনো কিছুটা পিছিয়ে। বিশেষ করে পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং তুরস্কের মতো দেশগুলির সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশ এশিয়ার সামরিক শক্তির দিক থেকে ১৭তম অবস্থানে রয়েছে, কিন্তু সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দেশটি ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।