ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে বাবার হাতে ছেলে খুন, ঘাতক পিতা আটক মঠবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সাথে অশোভনীয় আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে দিনে দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে টাকা ছিনতাই জয়পুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি ডিমলায় র‍্যাবের হাতে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার টুঙ্গিপাড়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ মাছের খাবার বিক্রি: ৫ হাজার টাকা জরিমানা পাবনায় জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পাইকগাছার রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ বদলগাছীতে ৮ হাজার ২শ ২০ বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খানের মতবিনিময়

বড়লেখায় বন ও পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করেই রহমানীয়া চা বাগানের ৫ শতাধিক গাছ বিক্রি

বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুরের রহমানীয় টি এষ্টেট চা বাগান বন ও পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করেই বিক্রি করে দিয়েছে খাস খতিয়ানের ৫ শতাধিক বনজ বৃক্ষ। গত ৩ দিন ধরে অবৈধভাবে গাছগুলো কেটে নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, টি বোর্ড, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের কোনো অনুমোদন ও ছাড়পত্র ছাড়াই চা বাগানটি বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধনের ফলে একদিকে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ও অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও বিনষ্ট হচ্ছে।

জানা গেছে, রহমানীয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক রকিবুল আহসান বাগানের লীজকৃত ডিসি খতিয়ানের টিলা ভূমির ৩৫/৩৬ লাখ টাকার মেনজিয়াম, হাইব্রিড আকাশিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫ শতাধিক বৃক্ষ আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন। ক্রেতারা শনিবার থেকে গাছ কাট শুরু করেছেন। দিনে গাছ কেটে রাতের আধারে বিভিন্ন করাত কলে নিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে চা বাগানের গারো টিলায় গিয়ে দেখা গেছে, ৫/৬ জন শ্রমিক একের পর এক গাছ কাটছেন। তাদের তদারকি করছেন জনৈক সায়েদ আহমদ ও বাগান চৌকিদারের ছেলে গনেশ কর্মকার।

তারা জানান, বাগানের ম্যানেজার তাদেরকে দিয়ে গাছ কাটাচ্ছেন। তিন দিনে কাটা গাছগুলো কোথায় জানতে চাইলে তারা জানায়, গাছগুলো বাগানের অফিসে রাখা হচ্ছে। তবে, বাগানের কোথাও কাটা গাছগুলো মজুত থাকতে দেখা যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে বাগানের অফিসে গিয়েও ম্যানেজার রকিবুল আহসানকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে রিং বাজলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বন বিভাগের সিলেট বিভাগীয় সহকারি বন সংরক্ষক ও বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল মৃধা জানান, বন আইনে বিনা অনুমতিতে বনজ বৃক্ষ কাটা ও বিক্রি অবৈধ। রহমানীয়া চা বাগান গাছ কাটার কোনো পার্মিশন নেয়নি। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।

ইউএনও তাহমিনা আক্তার জানান, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালের দিকে তিনি এই চা বাগানে ব্যাপক হারে সরকারি ভূমির গাছ কাটার খবর পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

বড়লেখায় বন ও পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করেই রহমানীয়া চা বাগানের ৫ শতাধিক গাছ বিক্রি

আপডেট সময় ০৯:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুরের রহমানীয় টি এষ্টেট চা বাগান বন ও পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করেই বিক্রি করে দিয়েছে খাস খতিয়ানের ৫ শতাধিক বনজ বৃক্ষ। গত ৩ দিন ধরে অবৈধভাবে গাছগুলো কেটে নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, টি বোর্ড, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের কোনো অনুমোদন ও ছাড়পত্র ছাড়াই চা বাগানটি বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধনের ফলে একদিকে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ও অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও বিনষ্ট হচ্ছে।

জানা গেছে, রহমানীয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক রকিবুল আহসান বাগানের লীজকৃত ডিসি খতিয়ানের টিলা ভূমির ৩৫/৩৬ লাখ টাকার মেনজিয়াম, হাইব্রিড আকাশিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫ শতাধিক বৃক্ষ আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন। ক্রেতারা শনিবার থেকে গাছ কাট শুরু করেছেন। দিনে গাছ কেটে রাতের আধারে বিভিন্ন করাত কলে নিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে চা বাগানের গারো টিলায় গিয়ে দেখা গেছে, ৫/৬ জন শ্রমিক একের পর এক গাছ কাটছেন। তাদের তদারকি করছেন জনৈক সায়েদ আহমদ ও বাগান চৌকিদারের ছেলে গনেশ কর্মকার।

তারা জানান, বাগানের ম্যানেজার তাদেরকে দিয়ে গাছ কাটাচ্ছেন। তিন দিনে কাটা গাছগুলো কোথায় জানতে চাইলে তারা জানায়, গাছগুলো বাগানের অফিসে রাখা হচ্ছে। তবে, বাগানের কোথাও কাটা গাছগুলো মজুত থাকতে দেখা যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে বাগানের অফিসে গিয়েও ম্যানেজার রকিবুল আহসানকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে রিং বাজলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বন বিভাগের সিলেট বিভাগীয় সহকারি বন সংরক্ষক ও বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল মৃধা জানান, বন আইনে বিনা অনুমতিতে বনজ বৃক্ষ কাটা ও বিক্রি অবৈধ। রহমানীয়া চা বাগান গাছ কাটার কোনো পার্মিশন নেয়নি। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।

ইউএনও তাহমিনা আক্তার জানান, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালের দিকে তিনি এই চা বাগানে ব্যাপক হারে সরকারি ভূমির গাছ কাটার খবর পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।