ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাজে পারফরম্যান্স, বিশেষত বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ১-৩ ব্যবধানে পরাজয় এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ০-৩ হোয়াইটওয়াশের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিসিসিআই তাদের নতুন ১০ দফা নীতিমালা প্রকাশ করেছে, যা ক্রিকেট বিশ্বে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নতুন নীতিমালার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে, যার মধ্যে অন্যতম ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা। বিসিসিআই স্পষ্ট জানিয়েছে, ঘরোয়া ম্যাচে অংশগ্রহণ না করলে কোনো খেলোয়াড় জাতীয় দলে জায়গা পাবেন না। এমনকি বিসিসিআই-এর কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকার জন্যও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার মতো তারকা খেলোয়াড়দের রঞ্জি ট্রফি উপেক্ষা করার সমালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো বিদেশ সফরে পরিবারের সদস্যদের সাথে থাকার জন্য খেলোয়াড়দের মাত্র দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হবে। এছাড়া ব্যক্তিগত ম্যানেজার, শেফ অথবা নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের জন্য বিসিসিআই-এর অনুমোদন গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সিরিজ চলাকালে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন চিত্রায়ণে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিসিসিআই জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো খেলোয়াড়দের মনোযোগ ধরে রাখা এবং দলীয় দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা। একই সঙ্গে, খেলোয়াড়দের দলের সঙ্গে একত্রে ভ্রমণ করতে বাধ্য করা হবে।
নতুন নীতিমালা লঙ্ঘন করলে বিসিসিআই কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর মধ্যে আইপিএলে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা এবং কেন্দ্রীয় চুক্তির ম্যাচ ফি কর্তন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব ধরনের ব্যতিক্রমের ক্ষেত্রে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগারকার এবং প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের অনুমোদন থাকতে হবে। অন্যথায়, নিয়ম ভাঙলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নতুন নীতিমালাগুলি ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীলতার বার্তা দিয়ে পুরো ক্রিকেট ব্যবস্থাকে আরও সুসংগঠিত করবে।