মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আইএফআইসি ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অন্যদিকে, সাকিব আল হাসান ছাড়াও মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে একই ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলাটি সম্পর্কে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।
উল্লেখ্য, আজ ইমদাদুল হক জামিন নিয়েছেন, তবে মালাইকা বেগম মারা যাওয়ায় তার মৃত্যু প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের অভিযোগ, সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে এক কোটি এবং টার্ম লোন হিসেবে দেড় কোটি টাকা আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ নেয়। কিন্তু সময়মতো পরিশোধ না করার ফলে ব্যাংক ওই টাকা মেয়াদি ঋণে পরিবর্তন করে।
এছাড়া, চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর সাকিবের কোম্পানি ব্যাংককে দুটি চেক দেয়। তবে ব্যাংকের হিসাব থেকে যথেষ্ট টাকা না থাকায় চেকগুলো ‘বাউন্স’ করে। এই কারণে চেক ডিজঅনার মামলাটি দায়ের করা হয়।
১৮ জানুয়ারি সাকিব আল হাসানকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায়, রোববার আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।