ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে বাবার হাতে ছেলে খুন, ঘাতক পিতা আটক মঠবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সাথে অশোভনীয় আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে দিনে দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে টাকা ছিনতাই জয়পুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি ডিমলায় র‍্যাবের হাতে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার টুঙ্গিপাড়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ মাছের খাবার বিক্রি: ৫ হাজার টাকা জরিমানা পাবনায় জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পাইকগাছার রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ বদলগাছীতে ৮ হাজার ২শ ২০ বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খানের মতবিনিময়

মার্কিন নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন ১৬ লাখ ভারতীয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি আদেশ হলো যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের কার্যক্রম শুরু।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প এই আদেশে সই করেন, যা বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পদক্ষেপের মাধ্যমে অভিবাসী বিতাড়নকে জোরদার করতে চান। এর ফলে, প্রায় ১৬ লাখ ভারতীয়-আমেরিকান নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন। ২০২২ সালের মার্কিন আদমশুমারি অনুযায়ী, প্রায় ৪৮ লাখ ভারতীয়-আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, যাদের মধ্যে ৩৪ শতাংশের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, ফলে তারা বর্তমানে মার্কিন নাগরিক।

গত বছর ট্রাম্প ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ নীতিকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেন এবং এটি পরিবর্তন করার ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সবাই দেশটির নাগরিক হিসেবে গণ্য হন, তবে এই নির্বাহী আদেশে এর বাস্তবায়ন শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ট্রাম্পের মতে, যদি জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়ম বজায় রাখা হয়, তাহলে অভিবাসনপ্রত্যাশী পরিবারগুলোকে আলাদা করে তাদের বাবা-মাকে ফিরিয়ে পাঠানো হবে এবং তিনি চান না যে পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক।

এদিকে, ট্রাম্প একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়া এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের আদেশে সই করেন।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প ১৮৯০ সালের পর প্রথম ব্যক্তি যিনি একটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর আবারও প্রেসিডেন্ট হয়ে দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণ করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

মার্কিন নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন ১৬ লাখ ভারতীয়

আপডেট সময় ০৯:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি আদেশ হলো যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের কার্যক্রম শুরু।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প এই আদেশে সই করেন, যা বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পদক্ষেপের মাধ্যমে অভিবাসী বিতাড়নকে জোরদার করতে চান। এর ফলে, প্রায় ১৬ লাখ ভারতীয়-আমেরিকান নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন। ২০২২ সালের মার্কিন আদমশুমারি অনুযায়ী, প্রায় ৪৮ লাখ ভারতীয়-আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, যাদের মধ্যে ৩৪ শতাংশের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, ফলে তারা বর্তমানে মার্কিন নাগরিক।

গত বছর ট্রাম্প ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ নীতিকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেন এবং এটি পরিবর্তন করার ঘোষণা দেন। মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সবাই দেশটির নাগরিক হিসেবে গণ্য হন, তবে এই নির্বাহী আদেশে এর বাস্তবায়ন শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ট্রাম্পের মতে, যদি জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়ম বজায় রাখা হয়, তাহলে অভিবাসনপ্রত্যাশী পরিবারগুলোকে আলাদা করে তাদের বাবা-মাকে ফিরিয়ে পাঠানো হবে এবং তিনি চান না যে পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক।

এদিকে, ট্রাম্প একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়া এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের আদেশে সই করেন।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প ১৮৯০ সালের পর প্রথম ব্যক্তি যিনি একটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর আবারও প্রেসিডেন্ট হয়ে দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণ করেছেন।