ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বিএনপিতে কোনো বেয়াদবের জায়গা থাকবে না: হীরা মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে: মহসিন মিয়া মধু পাবনা জেল সুপারের মানবিকতায় কারাগার থেকে নিজ দেশে ফিরে গেলেন নেপালী যুবক পাবনায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মির্জাপুরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবক গ্রেপ্তার রমজানে ৫০০ জন রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে “মানুষের পাশে আমরা, যশোর” বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০ বিবেকের জাগরণ: কখন আসবে আমাদের চেতনার আলো? রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা বদলগাছীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

কমলগঞ্জে ‘নিংতম কাং টুর্নামেন্ট-২০২৫’ এর শুভ উদ্বোধন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাংলাদেশ মণিপুরী কাং ফেডারেশনের উদ্যোগে ‘নিংতম কাং টুর্নামেন্ট-২০২৫’ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মৌলভীবাজারের আদমপুর ইউনিয়নের নয়াপত্তনস্থ কাংশং এ বাংলাদেশ মনিপুরী কাং ফেডারেশন আয়োজিত নিংতম কাং টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মণিপুরী কাং ফেডারেশনের উপদেষ্টা রাধামোহন সিংহ।

ফেডারেশনের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ইবুংহাল সিংহ শ্যামল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাং ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি কে মনীন্দ্র সিংহ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মনিপুরী কাং ফেডারেশনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হিরণ্ময় সিংহ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মণিপুরী কাং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নারেংবম সমরজিত সিংহ, সদস্য নোংমাইথেম অশোকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী খেলায় কোনাগাঁও উজাও লাইরেম্বী কাংখুৎ ৭-৫ পয়েন্টে হামোমখুল মহাদেব কাংখুৎকে পরাজিত করে।এবারের নিংতম কাং টুর্নামেন্টে ৬টি দল অংশগ্রহণ করছে।

উল্লেখ্য, ‘কাং খেলা’ মণিপুরীদের ঐতিহ্যবাহী এক ধরনের অভ্যন্তরীন খেলা। দ্বাদশ শতাব্দীতে মহারাজ ‘লোইতোংবা’র শাসনামলে কাং খেলা উদ্ভাবিত হয়। এই খেলার জন্য বড় এক মণ্ডপঘরের প্রয়োজন হয়। সেখানে নির্ধারিত মাপে কোর্ট কেটে দুই পক্ষের মধ্যে খেলা হয়। ফাইবার নির্মিত নির্দিষ্ট মাপের কালো রঙের ‘কাং’ নিয়ে খেলা হয়। এক-এক দলে ৭জন করে খেলোয়াড় থাকে। প্রথমে দাঁড়িয়ে ‘চেকফৈ’ মারতে হয়। অপর প্রান্তে বসানো নির্ধারিত টার্গেট দুইবার স্পর্শ করতে পারলে বসে ‘লমথা’ মারার যোগ্যতা অর্জিত হয়। লমথা যথানিয়মে টার্গেট স্পর্শ করতে পারলে একটি পয়েন্ট অর্জন করে। এক পক্ষ পয়েন্ট অর্জনে ব্যর্থ হলে অপর পক্ষ খেলার সুযোগ পায়। এভাবে খেলা এগিয়ে চলে এবং নির্ধারিত সময়ের শেষে যে দলের পয়েন্ট বেশি হবে, তারাই বিজয়ী হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

Verified by MonsterInsights

কমলগঞ্জে ‘নিংতম কাং টুর্নামেন্ট-২০২৫’ এর শুভ উদ্বোধন

আপডেট সময় ০৭:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাংলাদেশ মণিপুরী কাং ফেডারেশনের উদ্যোগে ‘নিংতম কাং টুর্নামেন্ট-২০২৫’ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মৌলভীবাজারের আদমপুর ইউনিয়নের নয়াপত্তনস্থ কাংশং এ বাংলাদেশ মনিপুরী কাং ফেডারেশন আয়োজিত নিংতম কাং টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মণিপুরী কাং ফেডারেশনের উপদেষ্টা রাধামোহন সিংহ।

ফেডারেশনের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ইবুংহাল সিংহ শ্যামল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাং ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি কে মনীন্দ্র সিংহ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মনিপুরী কাং ফেডারেশনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হিরণ্ময় সিংহ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মণিপুরী কাং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নারেংবম সমরজিত সিংহ, সদস্য নোংমাইথেম অশোকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী খেলায় কোনাগাঁও উজাও লাইরেম্বী কাংখুৎ ৭-৫ পয়েন্টে হামোমখুল মহাদেব কাংখুৎকে পরাজিত করে।এবারের নিংতম কাং টুর্নামেন্টে ৬টি দল অংশগ্রহণ করছে।

উল্লেখ্য, ‘কাং খেলা’ মণিপুরীদের ঐতিহ্যবাহী এক ধরনের অভ্যন্তরীন খেলা। দ্বাদশ শতাব্দীতে মহারাজ ‘লোইতোংবা’র শাসনামলে কাং খেলা উদ্ভাবিত হয়। এই খেলার জন্য বড় এক মণ্ডপঘরের প্রয়োজন হয়। সেখানে নির্ধারিত মাপে কোর্ট কেটে দুই পক্ষের মধ্যে খেলা হয়। ফাইবার নির্মিত নির্দিষ্ট মাপের কালো রঙের ‘কাং’ নিয়ে খেলা হয়। এক-এক দলে ৭জন করে খেলোয়াড় থাকে। প্রথমে দাঁড়িয়ে ‘চেকফৈ’ মারতে হয়। অপর প্রান্তে বসানো নির্ধারিত টার্গেট দুইবার স্পর্শ করতে পারলে বসে ‘লমথা’ মারার যোগ্যতা অর্জিত হয়। লমথা যথানিয়মে টার্গেট স্পর্শ করতে পারলে একটি পয়েন্ট অর্জন করে। এক পক্ষ পয়েন্ট অর্জনে ব্যর্থ হলে অপর পক্ষ খেলার সুযোগ পায়। এভাবে খেলা এগিয়ে চলে এবং নির্ধারিত সময়ের শেষে যে দলের পয়েন্ট বেশি হবে, তারাই বিজয়ী হয়।