অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অসাধারণ ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পরই সতীর্থদের জানিয়েছেন, সেটিই তার শেষ ওয়ানডে ম্যাচ। তবে তিনি টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন।
২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লেগ-স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়ানডেতে অভিষেক হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মিথ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান হিসেবে। ক্যারিয়ারে ১৭০টি ওয়ানডে খেলে ৪৩.২৮ গড়ে করেছেন ৫,৮০০ রান, যার মধ্যে রয়েছে ১২টি সেঞ্চুরি ও ৩৫টি হাফ-সেঞ্চুরি। এছাড়া বোলিংয়েও রেখেছেন ছাপ, নিয়েছেন ২৮টি উইকেট।
স্মিথের ক্যারিয়ারে উজ্জ্বল হয়ে আছে ২০১৫ ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তার শেষ ওয়ানডে ম্যাচেও নেতৃত্ব দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে, প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে।
বিদায়ী বক্তব্যে স্মিথ বলেন, “এটা ছিল অসাধারণ এক যাত্রা, প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। দুটি বিশ্বকাপ জেতার স্মৃতি চিরকাল মনে থাকবে। অসংখ্য দুর্দান্ত সতীর্থ পেয়েছি, একসঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত ভাগাভাগি করেছি। এখন নতুনদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়, ২০২৭ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই সরে দাঁড়াচ্ছি। তবে টেস্ট ক্রিকেট আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সামনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ও ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের জন্য মুখিয়ে আছি। আমি এখনো টেস্ট ক্রিকেটে অনেক কিছু দিতে পারব বলে বিশ্বাস করি।”
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ স্মিথের প্রশংসা করে বলেন, “ওয়ানডে ক্রিকেটে স্টিভ স্মিথের অবদান অসাধারণ। তার ব্যাটিং দক্ষতা ও নেতৃত্ব দুই বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে আমরা সৌভাগ্যবান যে সে এখনো টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে খেলা চালিয়ে যাবে।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলিও স্মিথের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “স্মিথের পারফরম্যান্স তার অসামান্য ক্যারিয়ারের প্রতিচ্ছবি। ১৭০ ওয়ানডে ম্যাচের রেকর্ডই বলে দেয়, তিনি কত বড় ক্রিকেটার। দুই বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হিসেবে তার নাম ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। তবে টেস্ট ক্রিকেটে সে এখনও দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”