হোসেনপুরে হঠাৎ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে। শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দেরিতে হলেও কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে।
গত ক’দিন ধরেই ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকছে, কিন্তু শুক্রবার আকস্মিকভাবে ঘন কুয়াশায় পুরো উপজেলা আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে। সকাল কুয়াশা থেকে যেন বৃষ্টি ঝরছে। চারদিক ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট ছিল জনশূন্য। যানবাহন চলছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে। ঘন কুয়াশা হলেও কিছু মানুষের চলাচল দেখা গেছে।
এদিকে বোরো আবাদের জন্য কুয়াশা ভেদ করে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় জগদল গ্রামের কৃষক আবদুল হামিদ, নিজাম উদ্দিন, সমীর উদ্দিনসহ অনেক কৃষকদের। জীবিকার তাগিদে ভ্যান-অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল সীমিত পরিসরে চলতে দেখা গেছে। এ সময়ে প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে দেখা মিলে নাই।
স্থানীয়রা জানান, শেষ বিকালে হালকা কুয়াশা পড়ছে। গভীর রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কাঁথা-কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। কৃষি অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় এ উপজেলায় আগে-ভাগেই শীতের আগমন ঘটে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট থাকে।
ভ্যানচালক হবি মিয়া (৩০) বলেন, আজকে বেশি ঠান্ডা লাগতাছে। কুযাশায় কিছু দেখা যায় না। যাত্রীও পাই না ভাড়া নাই বসে আছি।
পথচারী বোরহান মিয়া বলেন, হালকা কুয়াশা বৃষ্টি হচ্ছে। শরীরের কাপড় ভিজে গেছে। ঘন কুাশায় এক হাত দূরের কিছু দেখা যায় না। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
জনদুর্ভোগ নিরশনে নাগরিক অধিকার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ফকির বলেন, ‘আজ আকস্মিক ঘনকুয়াশা ছিল। হালকা শীত লাগছে। ঘনকুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে প্রবল শীত চলছে।
এদিকে, শীত ও শীতজনিত কারণে বিভিন্ন রোগবালাই শুরু হয়েছে। হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলা সদরে আধুনিক সদর হাসপাতালে শিশু-বয়স্কদের সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভিড় বাড়ছে।