ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক(অতিরিক্ত সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ মো. ফজলুর রহমানকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মৌলভীবাজারের বড়লেখা ভূমি অফিসে জালিয়াতির অপরাধে রিমান্ডে ৪ আসামি সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন ও ২ টি চুনা কারখানা গুড়িয়ে দেন তিতাস কর্তৃপক্ষ ফুলবাড়িয়ায় টিসিবির ডিলার ২৮৩ কার্ডের পণ্য বিক্রি করে দিয়েছে ভুল সন্দেহে নির্মমতা: বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর প্রতিবন্ধী যুবককে নবীগঞ্জে পূজামণ্ডপে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা : আহত ৩, গ্রেফতার ২ ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ারের মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনেরা সাভার সরকারি কলেজের মত এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় (ইমু ইমরান) সভাপতি পদ পেয়েছেন প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে নবীনগরে ৮ কোটি টাকার পানি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ৪ হাজার ইয়াবাসহ দম্পতি গ্রেফতার পাবনায় চরমপন্থি নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৮:০০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

পিতার হত্যার বিচার চেয়ে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন তাছলিমা আক্তার। আশ্রয় নিয়েছিলেন পরিচিতদের কথায়। ভেবেছিলেন, সহায়তা পাবেন। কিন্তু ভরসার সেই মানুষরাই বের হলো প্রতারক। আদালত, সিআইডি, ডাক্তার—এইসব নাম ব্যবহার করে তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা।

ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার গাবতলীতে। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন ভাইকে। তাঁরা হলেন—মো. লিখন মিয়া (৩৩), মো. রানা মিয়া (৩০) ও মো. সুমন মিয়া (২৮)। তিনজনই গাবতলীর কালাইহাটা সরকারপাড়ার বাসিন্দা।

সিআইডি বগুড়ার বিশেষ পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন জানান, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গাবতলী থানায় তাছলিমার পিতাকে হত্যা করে মামলা হয়। মামলার পর অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয় তাছলিমাকে। সেই সুযোগেই তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয় লিখন মিয়া এবং তাঁর দুই ভাই প্রতারণার ফাঁদ পাতে। লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতের আদেশ, ডাক্তারি প্রতিবেদন ও নানা খরচ লাগবে। একে একে বিভিন্ন সময়ে টাকা নেয় তারা। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় দুই লাখ পাঁচ হাজার।

পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সিআইডি বগুড়ার একটি দল অনুসন্ধানে নামে। প্রমাণ মিললে গত ২৩ এপ্রিল তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরো টাকাটিই।

এ ঘটনায় সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলা হয়েছে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ৪১১ ও ১৪ ধারায়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক(অতিরিক্ত সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ মো. ফজলুর রহমানকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

Verified by MonsterInsights

বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৮:০০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

পিতার হত্যার বিচার চেয়ে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন তাছলিমা আক্তার। আশ্রয় নিয়েছিলেন পরিচিতদের কথায়। ভেবেছিলেন, সহায়তা পাবেন। কিন্তু ভরসার সেই মানুষরাই বের হলো প্রতারক। আদালত, সিআইডি, ডাক্তার—এইসব নাম ব্যবহার করে তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা।

ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার গাবতলীতে। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন ভাইকে। তাঁরা হলেন—মো. লিখন মিয়া (৩৩), মো. রানা মিয়া (৩০) ও মো. সুমন মিয়া (২৮)। তিনজনই গাবতলীর কালাইহাটা সরকারপাড়ার বাসিন্দা।

সিআইডি বগুড়ার বিশেষ পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন জানান, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গাবতলী থানায় তাছলিমার পিতাকে হত্যা করে মামলা হয়। মামলার পর অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয় তাছলিমাকে। সেই সুযোগেই তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয় লিখন মিয়া এবং তাঁর দুই ভাই প্রতারণার ফাঁদ পাতে। লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতের আদেশ, ডাক্তারি প্রতিবেদন ও নানা খরচ লাগবে। একে একে বিভিন্ন সময়ে টাকা নেয় তারা। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় দুই লাখ পাঁচ হাজার।

পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সিআইডি বগুড়ার একটি দল অনুসন্ধানে নামে। প্রমাণ মিললে গত ২৩ এপ্রিল তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরো টাকাটিই।

এ ঘটনায় সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলা হয়েছে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ৪১১ ও ১৪ ধারায়।