ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো কঠিন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মাত্র একটি ট্রেন ও ঘোষিত সময়সূচীতে যশোরবাসী হতাশ ও ক্ষুব্ধ বোবারথল এলাকায় ভূমির অধিকার বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে চিকিৎসকদের অবস্থান গাজায় দু’টি হাসপাতাল ও একটি স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৮ ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অবস্থান ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩৮ সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ লঘুচাপে পরিণত, বাড়তে পারে তাপমাত্রা শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি নরসিংদীতে বিএনপি’র কর্মীকে গুলি করে হত্যা

ফের অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিলের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও।

শুক্রবার ( ২০ সেপ্টেম্বর ) সকালে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে পাহাড়িদের একটি মিছিল বের হয়ে বনরূপায় গেলে সেখানে মিছিলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও মসজিদের কাচ ভাঙচুর করে মিছিলকারীরা। তারা এই সময় রাস্তায় চলাচলকারি বাস, ট্রাক, টেক্সি, ভাঙচুর করে।

এরপরই লাঠিসোঠা হাতে মাঠে নেমে পড়ে বাঙালিরাও। তাদের পাল্টা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঁঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার, লুটপাট করা হয় বিহারের দানবাক্সের অর্থ। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় বনরূপায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় আঞ্চলিক পরিষদের ৭ টি গাড়ি। দু’পক্ষের আগুনে পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা।

এই ঘটনায় আনুমানিক ২৫ বছরের এক যুবক মারা গেলেও তার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ঘটনায় ৫৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন দুপুর একটা থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। হামলার ঘটনায় শহরে অর্ধ-শতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাহাড়ি নেতৃবৃন্দের দাবি, মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে বনরূপায় বাঙালিরা তাদের মিছিলে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে, এতে তাদের বেশকয়েকজন কর্মী আহত হয়। এরপর দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বাঙালিরা অভিযোগ করেন, পাহাড়িদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে বনরূপা মসজিদ মার্কেট ও মসজিদ মার্কেট সংলগ্ন জামে মসজিদে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাঙালিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পাহাড়িদের প্রতিহত করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।


 

আব্দুর রহিম নামে আহত হওয়া এক যুবক বলেন, সকালে আমি বনরূপাতে ছিলাম। পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপা ঘুরে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই বাঙালিদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। মসজিদে ইট মেরে কাচ ভাঙচুর করে। এসময় তাদের ইটের আঘাতে অনেকেই আহত হয়। আমার হাতে একটি ইট পড়ে। এখানকার ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিয়েছি। ভয়ে হাসপাতালের দিকে যেতে পারছি না।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উন্মেষের সভাপতি প্রিন্সি চাকমা বলেন, প্রো বেটার লাইফ (পিবিএল) অফিসে সকালে গিয়েছিলাম। কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের সাথে ছিল। হঠাৎ দেখি আমাদের অফিসের নিচে আগুন লাগানো হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করতে আসেন। আমরা যখন সেনাবাহিনীর গাড়িতে উঠি তখনও বাঙালিরা আমাদের ওপর হামলা করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে আমাদের নিরাপদ স্থানে ছেড়ে আসে সেনা সদস্যরা। এসময় আমাদের সাথে থাকা চার জন শিশু শিক্ষার্থীকে হারিয়ে ফেলি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেই শিশুদের উদ্ধার করা হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।

ডায়াগনস্টিক সেন্টার শেভরন ডক্টরস ল্যাবে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. অসিত বরণ দাম। তিনি বলেন, আমি ল্যাবে যাইনি। স্টাফরাও সেখানে নেই। আমাদের ল্যাবে ভাঙচুর করা হয়েছে এবং আসেপাশের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে বলে শুনেছি।

রাঙামাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বনরূপায় বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বনরূপা মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর করে বলে জানতে পেরেছি। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের আগুনের ঘটনায় ফাইবার অপটিকের কেবল পুড়ে যায়। ফলে রাঙামাটি শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ‘ইয়েস নেট’ এর পরিচালক মো. শাহীন। তিনি বলেন, পাহাড়িদের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ফাইবার অপটিকের কেবল পুড়ে যায় এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যহত হয়।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) শওকত আকবর জানিয়েছেন, হাসপাতালে ৫৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন ভর্তি রয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক যুবকের মরদেহ হাসপাতালে রেখে গেছে। তার কোনো আত্মীয়স্বজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মু. সাইফুল উদ্দিন জানিয়েছেন, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা ও গ্রেফতার করা হবে।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধনের আশঙ্কায় রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার ( ২০ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১১৪ ধারা বহাল থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তিনি সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফের অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম

আপডেট সময় ০৮:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিলের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও।

শুক্রবার ( ২০ সেপ্টেম্বর ) সকালে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে পাহাড়িদের একটি মিছিল বের হয়ে বনরূপায় গেলে সেখানে মিছিলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও মসজিদের কাচ ভাঙচুর করে মিছিলকারীরা। তারা এই সময় রাস্তায় চলাচলকারি বাস, ট্রাক, টেক্সি, ভাঙচুর করে।

এরপরই লাঠিসোঠা হাতে মাঠে নেমে পড়ে বাঙালিরাও। তাদের পাল্টা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঁঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার, লুটপাট করা হয় বিহারের দানবাক্সের অর্থ। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় বনরূপায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় আঞ্চলিক পরিষদের ৭ টি গাড়ি। দু’পক্ষের আগুনে পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা।

এই ঘটনায় আনুমানিক ২৫ বছরের এক যুবক মারা গেলেও তার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ঘটনায় ৫৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন দুপুর একটা থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। হামলার ঘটনায় শহরে অর্ধ-শতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাহাড়ি নেতৃবৃন্দের দাবি, মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে বনরূপায় বাঙালিরা তাদের মিছিলে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে, এতে তাদের বেশকয়েকজন কর্মী আহত হয়। এরপর দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বাঙালিরা অভিযোগ করেন, পাহাড়িদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে বনরূপা মসজিদ মার্কেট ও মসজিদ মার্কেট সংলগ্ন জামে মসজিদে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাঙালিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পাহাড়িদের প্রতিহত করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।


 

আব্দুর রহিম নামে আহত হওয়া এক যুবক বলেন, সকালে আমি বনরূপাতে ছিলাম। পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপা ঘুরে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই বাঙালিদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। মসজিদে ইট মেরে কাচ ভাঙচুর করে। এসময় তাদের ইটের আঘাতে অনেকেই আহত হয়। আমার হাতে একটি ইট পড়ে। এখানকার ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিয়েছি। ভয়ে হাসপাতালের দিকে যেতে পারছি না।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উন্মেষের সভাপতি প্রিন্সি চাকমা বলেন, প্রো বেটার লাইফ (পিবিএল) অফিসে সকালে গিয়েছিলাম। কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের সাথে ছিল। হঠাৎ দেখি আমাদের অফিসের নিচে আগুন লাগানো হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করতে আসেন। আমরা যখন সেনাবাহিনীর গাড়িতে উঠি তখনও বাঙালিরা আমাদের ওপর হামলা করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে আমাদের নিরাপদ স্থানে ছেড়ে আসে সেনা সদস্যরা। এসময় আমাদের সাথে থাকা চার জন শিশু শিক্ষার্থীকে হারিয়ে ফেলি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেই শিশুদের উদ্ধার করা হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।

ডায়াগনস্টিক সেন্টার শেভরন ডক্টরস ল্যাবে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. অসিত বরণ দাম। তিনি বলেন, আমি ল্যাবে যাইনি। স্টাফরাও সেখানে নেই। আমাদের ল্যাবে ভাঙচুর করা হয়েছে এবং আসেপাশের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে বলে শুনেছি।

রাঙামাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বনরূপায় বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বনরূপা মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর করে বলে জানতে পেরেছি। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের আগুনের ঘটনায় ফাইবার অপটিকের কেবল পুড়ে যায়। ফলে রাঙামাটি শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ‘ইয়েস নেট’ এর পরিচালক মো. শাহীন। তিনি বলেন, পাহাড়িদের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ফাইবার অপটিকের কেবল পুড়ে যায় এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যহত হয়।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) শওকত আকবর জানিয়েছেন, হাসপাতালে ৫৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন ভর্তি রয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক যুবকের মরদেহ হাসপাতালে রেখে গেছে। তার কোনো আত্মীয়স্বজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মু. সাইফুল উদ্দিন জানিয়েছেন, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা ও গ্রেফতার করা হবে।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধনের আশঙ্কায় রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার ( ২০ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১১৪ ধারা বহাল থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তিনি সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।