ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল বোয়ালখালী শাকপুরা প্রবর্ত্তক পাইলট কন্যা বিদ্যাপীঠের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন পেয়ার মোহাম্মদ কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মণিপুরী ললিতকলায় ৭ দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা ছুরিকাঘাতে জখম শিবগঞ্জে ২ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা, দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ড নীলফামারীতে ১৫ মার্চ ৩ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বাংলাদেশে খুনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই: আমানউল্লাহ আমান শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পাঁচ সফল প্রতিবন্ধী নারীকে সম্মাননা প্রদান রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার রায়পুরে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৬

শব্দের চেয়ে ৪ গুণ গতির সুপারসনিক ড্রোন বানাচ্ছে চীন

ছবি: সংগৃহীত

চীনা প্রতিষ্ঠান লিংকং তিয়ানশিং টেকনোলজি ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা একটি সুপারসনিক ড্রোন তৈরি করতে যাচ্ছে, যা শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত চলতে সক্ষম হবে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কুয়ানতিয়ানহৌ বা সোরিং স্টোন মানকি, যা চীনের দক্ষিণপশ্চিমের সিয়াচুন প্রদেশের রাজধানী চ্যাংডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে উন্মোচিত হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স কিছুদিন আগে পরবর্তী প্রজন্মের রকেটের সফল পরীক্ষা চালানোর পর, লিংকং তিয়ানশিং সুপারসনিক ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন আগামী বছরেই শুরু করার পরিকল্পনা করছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ড্রোন একবার সফল হলে, এটি শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, চীনের প্রযুক্তি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

লিংকং তিয়ানশিং এর এই ড্রোন প্রকল্পটি সামরিক হাইপারসনিক প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিক ব্যবহারে আনার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটি গত বছর অক্টোবর মাসে একটি বাণিজ্যিক প্লেনের প্রোটোটাইপ পরীক্ষাও চালিয়েছে, যা কনকর্ড বিমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ গতিতে উড়তে সক্ষম। এই প্লেন নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন যেতে সময় নেয় মাত্র ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট, যখন বোয়িং ৭৪৭ এই যাত্রা করতে নেয় প্রায় ৭ ঘণ্টা।

এদিকে, কনকর্ড সুপারসনিক বিমানটি শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চলতে সক্ষম হলেও, লিংকং তিয়ানশিংয়ের এই সুপারসনিক ড্রোন শব্দের চেয়েও ৪ গুণ বেশি গতিতে চলতে সক্ষম হবে, যা বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।

চীনের নতুন ড্রোনের ওজন হবে দেড় টন এবং এটি ৭ মিটার দীর্ঘ হবে। এতে শক্তি সরবরাহ করবে দু’টি ডেটোনেশন ইঞ্জিন। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ড্রোনের প্রোটোটাইপ টেস্টিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ড এর কিছু আন্তর্জাতিক স্টার্টআপও সুপারসনিক প্রযুক্তির ওপর গবেষণা চালাচ্ছে, তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী কোনো বিমান এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত চীনই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া

Verified by MonsterInsights

শব্দের চেয়ে ৪ গুণ গতির সুপারসনিক ড্রোন বানাচ্ছে চীন

আপডেট সময় ০৭:১৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

চীনা প্রতিষ্ঠান লিংকং তিয়ানশিং টেকনোলজি ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা একটি সুপারসনিক ড্রোন তৈরি করতে যাচ্ছে, যা শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত চলতে সক্ষম হবে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কুয়ানতিয়ানহৌ বা সোরিং স্টোন মানকি, যা চীনের দক্ষিণপশ্চিমের সিয়াচুন প্রদেশের রাজধানী চ্যাংডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে উন্মোচিত হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স কিছুদিন আগে পরবর্তী প্রজন্মের রকেটের সফল পরীক্ষা চালানোর পর, লিংকং তিয়ানশিং সুপারসনিক ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন আগামী বছরেই শুরু করার পরিকল্পনা করছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ড্রোন একবার সফল হলে, এটি শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, চীনের প্রযুক্তি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

লিংকং তিয়ানশিং এর এই ড্রোন প্রকল্পটি সামরিক হাইপারসনিক প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিক ব্যবহারে আনার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটি গত বছর অক্টোবর মাসে একটি বাণিজ্যিক প্লেনের প্রোটোটাইপ পরীক্ষাও চালিয়েছে, যা কনকর্ড বিমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ গতিতে উড়তে সক্ষম। এই প্লেন নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন যেতে সময় নেয় মাত্র ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট, যখন বোয়িং ৭৪৭ এই যাত্রা করতে নেয় প্রায় ৭ ঘণ্টা।

এদিকে, কনকর্ড সুপারসনিক বিমানটি শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চলতে সক্ষম হলেও, লিংকং তিয়ানশিংয়ের এই সুপারসনিক ড্রোন শব্দের চেয়েও ৪ গুণ বেশি গতিতে চলতে সক্ষম হবে, যা বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।

চীনের নতুন ড্রোনের ওজন হবে দেড় টন এবং এটি ৭ মিটার দীর্ঘ হবে। এতে শক্তি সরবরাহ করবে দু’টি ডেটোনেশন ইঞ্জিন। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ড্রোনের প্রোটোটাইপ টেস্টিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ড এর কিছু আন্তর্জাতিক স্টার্টআপও সুপারসনিক প্রযুক্তির ওপর গবেষণা চালাচ্ছে, তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী কোনো বিমান এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত চীনই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে।