চীনা প্রতিষ্ঠান লিংকং তিয়ানশিং টেকনোলজি ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা একটি সুপারসনিক ড্রোন তৈরি করতে যাচ্ছে, যা শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত চলতে সক্ষম হবে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কুয়ানতিয়ানহৌ বা সোরিং স্টোন মানকি, যা চীনের দক্ষিণপশ্চিমের সিয়াচুন প্রদেশের রাজধানী চ্যাংডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে উন্মোচিত হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স কিছুদিন আগে পরবর্তী প্রজন্মের রকেটের সফল পরীক্ষা চালানোর পর, লিংকং তিয়ানশিং সুপারসনিক ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন আগামী বছরেই শুরু করার পরিকল্পনা করছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ড্রোন একবার সফল হলে, এটি শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, চীনের প্রযুক্তি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
লিংকং তিয়ানশিং এর এই ড্রোন প্রকল্পটি সামরিক হাইপারসনিক প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিক ব্যবহারে আনার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটি গত বছর অক্টোবর মাসে একটি বাণিজ্যিক প্লেনের প্রোটোটাইপ পরীক্ষাও চালিয়েছে, যা কনকর্ড বিমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ গতিতে উড়তে সক্ষম। এই প্লেন নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন যেতে সময় নেয় মাত্র ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট, যখন বোয়িং ৭৪৭ এই যাত্রা করতে নেয় প্রায় ৭ ঘণ্টা।
এদিকে, কনকর্ড সুপারসনিক বিমানটি শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চলতে সক্ষম হলেও, লিংকং তিয়ানশিংয়ের এই সুপারসনিক ড্রোন শব্দের চেয়েও ৪ গুণ বেশি গতিতে চলতে সক্ষম হবে, যা বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।
চীনের নতুন ড্রোনের ওজন হবে দেড় টন এবং এটি ৭ মিটার দীর্ঘ হবে। এতে শক্তি সরবরাহ করবে দু’টি ডেটোনেশন ইঞ্জিন। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ড্রোনের প্রোটোটাইপ টেস্টিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ড এর কিছু আন্তর্জাতিক স্টার্টআপও সুপারসনিক প্রযুক্তির ওপর গবেষণা চালাচ্ছে, তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী কোনো বিমান এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত চীনই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে।