ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ইলন মাস্কের সন্তানদের উপহার দিলেন মোদি আজ পবিত্র শবে বরাত সুন্দরবন দিবস আজ বসন্তের রঙে রাঙানো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল নিষিদ্ধ হবে: মির্জা ফখরুল বাজিতপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি সাকের, সাধারণ সম্পাদক ফাত্তাহ মির্জাপুরে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” এর পরিবর্তিত নাম “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” বোয়ালখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা কিশোরগঞ্জে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত নবীনগর প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি শান্তি, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল

শব্দের চেয়ে ৪ গুণ গতির সুপারসনিক ড্রোন বানাচ্ছে চীন

ছবি: সংগৃহীত

চীনা প্রতিষ্ঠান লিংকং তিয়ানশিং টেকনোলজি ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা একটি সুপারসনিক ড্রোন তৈরি করতে যাচ্ছে, যা শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত চলতে সক্ষম হবে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কুয়ানতিয়ানহৌ বা সোরিং স্টোন মানকি, যা চীনের দক্ষিণপশ্চিমের সিয়াচুন প্রদেশের রাজধানী চ্যাংডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে উন্মোচিত হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স কিছুদিন আগে পরবর্তী প্রজন্মের রকেটের সফল পরীক্ষা চালানোর পর, লিংকং তিয়ানশিং সুপারসনিক ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন আগামী বছরেই শুরু করার পরিকল্পনা করছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ড্রোন একবার সফল হলে, এটি শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, চীনের প্রযুক্তি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

লিংকং তিয়ানশিং এর এই ড্রোন প্রকল্পটি সামরিক হাইপারসনিক প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিক ব্যবহারে আনার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটি গত বছর অক্টোবর মাসে একটি বাণিজ্যিক প্লেনের প্রোটোটাইপ পরীক্ষাও চালিয়েছে, যা কনকর্ড বিমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ গতিতে উড়তে সক্ষম। এই প্লেন নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন যেতে সময় নেয় মাত্র ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট, যখন বোয়িং ৭৪৭ এই যাত্রা করতে নেয় প্রায় ৭ ঘণ্টা।

এদিকে, কনকর্ড সুপারসনিক বিমানটি শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চলতে সক্ষম হলেও, লিংকং তিয়ানশিংয়ের এই সুপারসনিক ড্রোন শব্দের চেয়েও ৪ গুণ বেশি গতিতে চলতে সক্ষম হবে, যা বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।

চীনের নতুন ড্রোনের ওজন হবে দেড় টন এবং এটি ৭ মিটার দীর্ঘ হবে। এতে শক্তি সরবরাহ করবে দু’টি ডেটোনেশন ইঞ্জিন। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ড্রোনের প্রোটোটাইপ টেস্টিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ড এর কিছু আন্তর্জাতিক স্টার্টআপও সুপারসনিক প্রযুক্তির ওপর গবেষণা চালাচ্ছে, তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী কোনো বিমান এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত চীনই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

Verified by MonsterInsights

শব্দের চেয়ে ৪ গুণ গতির সুপারসনিক ড্রোন বানাচ্ছে চীন

আপডেট সময় ০৭:১৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

চীনা প্রতিষ্ঠান লিংকং তিয়ানশিং টেকনোলজি ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা একটি সুপারসনিক ড্রোন তৈরি করতে যাচ্ছে, যা শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত চলতে সক্ষম হবে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কুয়ানতিয়ানহৌ বা সোরিং স্টোন মানকি, যা চীনের দক্ষিণপশ্চিমের সিয়াচুন প্রদেশের রাজধানী চ্যাংডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে উন্মোচিত হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স কিছুদিন আগে পরবর্তী প্রজন্মের রকেটের সফল পরীক্ষা চালানোর পর, লিংকং তিয়ানশিং সুপারসনিক ড্রোনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন আগামী বছরেই শুরু করার পরিকল্পনা করছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ড্রোন একবার সফল হলে, এটি শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, চীনের প্রযুক্তি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

লিংকং তিয়ানশিং এর এই ড্রোন প্রকল্পটি সামরিক হাইপারসনিক প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিক ব্যবহারে আনার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটি গত বছর অক্টোবর মাসে একটি বাণিজ্যিক প্লেনের প্রোটোটাইপ পরীক্ষাও চালিয়েছে, যা কনকর্ড বিমানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ গতিতে উড়তে সক্ষম। এই প্লেন নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন যেতে সময় নেয় মাত্র ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট, যখন বোয়িং ৭৪৭ এই যাত্রা করতে নেয় প্রায় ৭ ঘণ্টা।

এদিকে, কনকর্ড সুপারসনিক বিমানটি শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে চলতে সক্ষম হলেও, লিংকং তিয়ানশিংয়ের এই সুপারসনিক ড্রোন শব্দের চেয়েও ৪ গুণ বেশি গতিতে চলতে সক্ষম হবে, যা বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।

চীনের নতুন ড্রোনের ওজন হবে দেড় টন এবং এটি ৭ মিটার দীর্ঘ হবে। এতে শক্তি সরবরাহ করবে দু’টি ডেটোনেশন ইঞ্জিন। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ড্রোনের প্রোটোটাইপ টেস্টিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ড এর কিছু আন্তর্জাতিক স্টার্টআপও সুপারসনিক প্রযুক্তির ওপর গবেষণা চালাচ্ছে, তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী কোনো বিমান এখনও তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত চীনই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে।