ঢাকা ১২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল বোয়ালখালী শাকপুরা প্রবর্ত্তক পাইলট কন্যা বিদ্যাপীঠের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন পেয়ার মোহাম্মদ কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মণিপুরী ললিতকলায় ৭ দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা ছুরিকাঘাতে জখম শিবগঞ্জে ২ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা, দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ড নীলফামারীতে ১৫ মার্চ ৩ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বাংলাদেশে খুনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই: আমানউল্লাহ আমান শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পাঁচ সফল প্রতিবন্ধী নারীকে সম্মাননা প্রদান রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার রায়পুরে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৬

ক্রমবর্ধমান হ্রাসে চীনের জনসংখ্যা শূন্যের নেপথ্যে!

পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে চীনের জনসংখ্যা কমছে। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা তিন বছর ধরে চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ এক শতক ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকার পর চীন বর্তমানে ভারতকে পেছনে ফেলতে পারছে না এবং দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে এসেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) চীনের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়, চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে চীনের জনসংখ্যা গত এক বছরে ১.৩৯ মিলিয়ন কমেছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের জনসংখ্যা ২০২৩ সালে ১৪১ কোটি ছিল, যা গত বছর ১৪০ কোটি ৮০ লাখে নেমে এসেছে।

এছাড়া, পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, দেশটির মৃত্যুহারও বাড়ছে। ২০২৩ সালে ১০.৯৩ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়, যা ২০২২ সালের ১১.১ মিলিয়ন মৃত্যু থেকে ১.৫ শতাংশ কম। মৃত্যুহারের সংখ্যা প্রতি হাজারে ৭.৮৭ থেকে কমে ৭.৭৬ হয়েছে। তবে জন্মহার কম থাকায় জনসংখ্যা হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।

১৯৮০ সালের দশক থেকেই চীনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। ২০২২ সালে চীনে প্রথমবারের মতো মৃত্যুহার জন্মহারকে ছাড়িয়ে যায়, যা ১৯৬১ সালের দুর্ভিক্ষের পরবর্তী সময়ে একমাত্র ঘটনা।

বেইজিং সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই ধারা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে ‘এক সন্তান নীতি’ বাতিল হওয়ার পর, সরকার সন্তান ধারণের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২১ সালে তিন সন্তানের অনুমতি দেওয়া হলেও, উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং যুব বেকারত্বের উচ্চ হার নতুন প্রজন্মকে সন্তান ধারণে নিরুৎসাহিত করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন যদি এই জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জনসংখ্যা হ্রাসের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে, আগামী এক হাজার বছরে চীনের জনসংখ্যা শূন্য হয়ে যেতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া

Verified by MonsterInsights

ক্রমবর্ধমান হ্রাসে চীনের জনসংখ্যা শূন্যের নেপথ্যে!

আপডেট সময় ০৭:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে চীনের জনসংখ্যা কমছে। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা তিন বছর ধরে চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ এক শতক ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকার পর চীন বর্তমানে ভারতকে পেছনে ফেলতে পারছে না এবং দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে এসেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) চীনের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়, চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে চীনের জনসংখ্যা গত এক বছরে ১.৩৯ মিলিয়ন কমেছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের জনসংখ্যা ২০২৩ সালে ১৪১ কোটি ছিল, যা গত বছর ১৪০ কোটি ৮০ লাখে নেমে এসেছে।

এছাড়া, পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, দেশটির মৃত্যুহারও বাড়ছে। ২০২৩ সালে ১০.৯৩ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়, যা ২০২২ সালের ১১.১ মিলিয়ন মৃত্যু থেকে ১.৫ শতাংশ কম। মৃত্যুহারের সংখ্যা প্রতি হাজারে ৭.৮৭ থেকে কমে ৭.৭৬ হয়েছে। তবে জন্মহার কম থাকায় জনসংখ্যা হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।

১৯৮০ সালের দশক থেকেই চীনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। ২০২২ সালে চীনে প্রথমবারের মতো মৃত্যুহার জন্মহারকে ছাড়িয়ে যায়, যা ১৯৬১ সালের দুর্ভিক্ষের পরবর্তী সময়ে একমাত্র ঘটনা।

বেইজিং সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই ধারা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে ‘এক সন্তান নীতি’ বাতিল হওয়ার পর, সরকার সন্তান ধারণের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২১ সালে তিন সন্তানের অনুমতি দেওয়া হলেও, উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং যুব বেকারত্বের উচ্চ হার নতুন প্রজন্মকে সন্তান ধারণে নিরুৎসাহিত করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন যদি এই জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জনসংখ্যা হ্রাসের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে, আগামী এক হাজার বছরে চীনের জনসংখ্যা শূন্য হয়ে যেতে পারে।