ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে বাবার হাতে ছেলে খুন, ঘাতক পিতা আটক মঠবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সাথে অশোভনীয় আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে দিনে দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে টাকা ছিনতাই জয়পুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি ডিমলায় র‍্যাবের হাতে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার টুঙ্গিপাড়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ মাছের খাবার বিক্রি: ৫ হাজার টাকা জরিমানা পাবনায় জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পাইকগাছার রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ বদলগাছীতে ৮ হাজার ২শ ২০ বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খানের মতবিনিময়

ক্রমবর্ধমান হ্রাসে চীনের জনসংখ্যা শূন্যের নেপথ্যে!

পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে চীনের জনসংখ্যা কমছে। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা তিন বছর ধরে চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ এক শতক ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকার পর চীন বর্তমানে ভারতকে পেছনে ফেলতে পারছে না এবং দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে এসেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) চীনের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়, চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে চীনের জনসংখ্যা গত এক বছরে ১.৩৯ মিলিয়ন কমেছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের জনসংখ্যা ২০২৩ সালে ১৪১ কোটি ছিল, যা গত বছর ১৪০ কোটি ৮০ লাখে নেমে এসেছে।

এছাড়া, পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, দেশটির মৃত্যুহারও বাড়ছে। ২০২৩ সালে ১০.৯৩ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়, যা ২০২২ সালের ১১.১ মিলিয়ন মৃত্যু থেকে ১.৫ শতাংশ কম। মৃত্যুহারের সংখ্যা প্রতি হাজারে ৭.৮৭ থেকে কমে ৭.৭৬ হয়েছে। তবে জন্মহার কম থাকায় জনসংখ্যা হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।

১৯৮০ সালের দশক থেকেই চীনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। ২০২২ সালে চীনে প্রথমবারের মতো মৃত্যুহার জন্মহারকে ছাড়িয়ে যায়, যা ১৯৬১ সালের দুর্ভিক্ষের পরবর্তী সময়ে একমাত্র ঘটনা।

বেইজিং সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই ধারা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে ‘এক সন্তান নীতি’ বাতিল হওয়ার পর, সরকার সন্তান ধারণের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২১ সালে তিন সন্তানের অনুমতি দেওয়া হলেও, উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং যুব বেকারত্বের উচ্চ হার নতুন প্রজন্মকে সন্তান ধারণে নিরুৎসাহিত করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন যদি এই জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জনসংখ্যা হ্রাসের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে, আগামী এক হাজার বছরে চীনের জনসংখ্যা শূন্য হয়ে যেতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

ক্রমবর্ধমান হ্রাসে চীনের জনসংখ্যা শূন্যের নেপথ্যে!

আপডেট সময় ০৭:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে চীনের জনসংখ্যা কমছে। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা তিন বছর ধরে চীনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ এক শতক ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকার পর চীন বর্তমানে ভারতকে পেছনে ফেলতে পারছে না এবং দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে এসেছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) চীনের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়, চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে চীনের জনসংখ্যা গত এক বছরে ১.৩৯ মিলিয়ন কমেছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের জনসংখ্যা ২০২৩ সালে ১৪১ কোটি ছিল, যা গত বছর ১৪০ কোটি ৮০ লাখে নেমে এসেছে।

এছাড়া, পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, দেশটির মৃত্যুহারও বাড়ছে। ২০২৩ সালে ১০.৯৩ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়, যা ২০২২ সালের ১১.১ মিলিয়ন মৃত্যু থেকে ১.৫ শতাংশ কম। মৃত্যুহারের সংখ্যা প্রতি হাজারে ৭.৮৭ থেকে কমে ৭.৭৬ হয়েছে। তবে জন্মহার কম থাকায় জনসংখ্যা হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।

১৯৮০ সালের দশক থেকেই চীনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। ২০২২ সালে চীনে প্রথমবারের মতো মৃত্যুহার জন্মহারকে ছাড়িয়ে যায়, যা ১৯৬১ সালের দুর্ভিক্ষের পরবর্তী সময়ে একমাত্র ঘটনা।

বেইজিং সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই ধারা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে ‘এক সন্তান নীতি’ বাতিল হওয়ার পর, সরকার সন্তান ধারণের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২১ সালে তিন সন্তানের অনুমতি দেওয়া হলেও, উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং যুব বেকারত্বের উচ্চ হার নতুন প্রজন্মকে সন্তান ধারণে নিরুৎসাহিত করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন যদি এই জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জনসংখ্যা হ্রাসের বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে, আগামী এক হাজার বছরে চীনের জনসংখ্যা শূন্য হয়ে যেতে পারে।