বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা তার পরিবার ও দলীয় স্বার্থে গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, “যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তাদের গণহত্যা ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা চায়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না।”
রিজভী বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) সেমিনার হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা পাশের দেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন এবং জেলখানায় থাকা এক নেতা (সালমান এফ রহমান) ঝাড়ফুঁক পাঠাচ্ছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।” তিনি সরকারের বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে যে নির্যাতন চলছে তা উল্লেখ করে বলেন, “বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে এবং দেশের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংস্কারের নামে সরকার সময়ক্ষেপণ করছে, যা ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবন ঘটাবে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে হবে এবং এমন সংস্কার চালু করতে হবে যাতে মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।”
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় রিজভী জিয়াউর রহমানের বহুমুখী অবদান ও তার রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান যুদ্ধোত্তর দেশের সকল শ্রেণির মানুষকে একত্রিত করার জন্য এক অনন্য নেতৃত্ব গড়েছিলেন। তার রাষ্ট্র দর্শন এবং জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।”
এছাড়া, এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনে গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জাতীয় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতির কারণে প্রকৌশলীদের মূল্যায়ন হয়নি। তবে বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রকৌশলীদের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে।”