রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এটি জানানো হয় যে, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে নিজের স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গত ১৬ অক্টোবর দুর্নীতি এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান। তাদের হাইকোর্টের বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনা থেকে বিরত রাখা হয়। বাদ দেওয়া ১২ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন এবং বিচারপতি খিজির হায়াত।
এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর, দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তারা এই বিচারপতিদের পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন। পরে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।