ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারি ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান ৭ টেলিকম সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করেছে বিটিআরসি উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন, অধ্যাদেশ জারি শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন করবে ভারত: আইন উপদেষ্টা বোর্ডের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ ক্রিকেট বাধাগ্রস্ত: নিক পোথাস তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: নিহত ৬৬, আহত ৫১ জামায়াতে ইসলামীর আমীরের সঙ্গে চরমোনাই পীরের সৌজন্য সাক্ষাৎ মার্কিন নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন ১৬ লাখ ভারতীয় অবরোধ তুলে নিলেন বিদেশ গমনেচ্ছুরা শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি শিক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মির্জা ফখরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা যুক্তরাজ্যের এমপির প্রতিবেদন প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে যুক্তরাজ্যের একদল এমপির দেওয়া প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

গত নভেম্বরে, যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ বিষয়ক অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এএপিজি) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে, যা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে। প্রতিবেদনটিতে অনেক তথ্য সঠিক নয় বলে অভিযোগ উঠেছে এবং এ কারণে যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে একজন মুখপাত্র বলেছেন, “এই প্রতিবেদনটি পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে এবং এটি আর বিতরণ করা হচ্ছে না।”

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল। আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায়, যাতে আনুমানিক এক হাজার মানুষ নিহত হয়।

অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এএপিজি) প্রতিবেদনে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার’ এবং ‘উগ্রপন্থি ইসলামিস্টদের’ পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

প্রতিবেদনটি মূলত নয়াদিল্লিভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপের তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছিল।

প্রতিবেদনটি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের মধ্যে, এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করার পদক্ষেপে আরও নানা বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারি

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা যুক্তরাজ্যের এমপির প্রতিবেদন প্রত্যাহার

আপডেট সময় ১১:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে যুক্তরাজ্যের একদল এমপির দেওয়া প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

গত নভেম্বরে, যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ বিষয়ক অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এএপিজি) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে, যা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে। প্রতিবেদনটিতে অনেক তথ্য সঠিক নয় বলে অভিযোগ উঠেছে এবং এ কারণে যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে একজন মুখপাত্র বলেছেন, “এই প্রতিবেদনটি পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে এবং এটি আর বিতরণ করা হচ্ছে না।”

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল। আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায়, যাতে আনুমানিক এক হাজার মানুষ নিহত হয়।

অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এএপিজি) প্রতিবেদনে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার’ এবং ‘উগ্রপন্থি ইসলামিস্টদের’ পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

প্রতিবেদনটি মূলত নয়াদিল্লিভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপের তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছিল।

প্রতিবেদনটি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের মধ্যে, এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করার পদক্ষেপে আরও নানা বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।