যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছেন তিনি, এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার রেকর্ড তৈরি করতে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করবেন স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে মার্কিন কংগ্রেসের হল ঘরে। তবে এবার শীতকালীন অবস্থায়, গত ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার শপথ অনুষ্ঠান ইনডোরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেন। যদিও তার এই বিজয় নিয়ে দেশব্যাপী উদ্বেগ এবং অশান্তি রয়েছে। বিশেষ করে তার শীর্ষ পদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা এই পদের জন্য উপযুক্ত নন। এরই মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তার বিরুদ্ধে ‘ট্রাম্পিজম’কে প্রতিবাদ করছেন।
নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প তার অঙ্গীকার পূরণ করতে যাচ্ছেন। প্রথম দিনেই প্রায় ১০০টি নির্বাহী আদেশে সই করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এই আদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অভিবাসন নীতি, সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ, শুল্ক আরোপ এবং জলবায়ু চুক্তি বাতিলের মতো বিষয়। পাশাপাশি, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম দিনেই ক্যাপিটল দাঙ্গায় সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার উদ্যোগগুলোও সমালোচিত হতে পারে। বিশেষত, তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে পুনরায় সরে যেতে পারেন, এবং কিউবা, ভেনেজুয়েলা, গাজা অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে, এসব বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে এবং তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমল শেষ হওয়ার পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে কি নতুন রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করবেন, তা সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। বিশেষ করে, অভিবাসন নীতি, শুল্ক আরোপ এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তার সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলি আগামী দিনের জন্য গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হবে।