সমাজসেবা অধিদপ্তরাধীন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিশুদের অংশগ্রহণে বিভাগীয় পর্যায়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে ময়মনসিংহ, শম্ভুগঞ্জ, সরকারি শিশু পরিবার (বালক) মাঠে এ বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক সমাজসেবা অধিদপ্তর মো. সাইদুর রহমান খান।

স্বাগত বক্তব্যে বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারি শিশু পরিবার পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের ভরণ-পোষণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উপযুক্ত মর্যাদায় সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের এই বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা তারই একটি ধারাবাহিক অংশ।
প্রধান অতিথি বলেন, এই দিনটির জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি আরো বলেন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুধু তাদের মানসিক বিকাশের জন্য নয় বরং তাদের নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব দেওয়া শক্তি এবং নিজেকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি বাড়ায়। তাই আমাদের প্রত্যাশা এই অনুষ্ঠানের প্রভাব তাদের ব্যক্তি জীবনে পাশাপাশি সামাজিক জীবনে এর প্রভাব প্রতিফলিত হোক।

সভাপতির বক্তব্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর দেশব্যাপী যে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে, এ বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এর একটি অংশ বিশেষ। এছাড়াও সমাজে পিছিয়ে যাওয়া শিশুদের অধিকার সুরক্ষা, উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরো বলেন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শিশুদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সুন্দর হোক এবং শতবর্ষ যাবৎ চলতে থাকো এটাই আমার প্রত্যাশা।
বক্তব্য শেষে, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলার সরকারি শিশু পরিবার (বালক ও বালিকা) শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা প্রধান অতিথির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুৎফুন নাহার, অতিরিক্ত পরিচালক বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় দেবাশিস সরদার, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মী।