গাজায় অবশেষে কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এক ঘণ্টা বিলম্বের পর, রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পূর্বে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয় যে, হামাস শর্তমত জিম্মি ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেনি, যার কারণে যুদ্ধবিরতি শুরু হতে বিলম্ব হয়েছে। হামাস তাদের পক্ষ থেকে ‘কারিগরি সমস্যা’র কথা জানিয়ে বলেছে, তারা মুক্তি দেওয়া জিম্মি ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশে কিছু সময়ের জন্য দেরি করেছে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, যতক্ষণ না হামাস প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুক্তি দেওয়ার জিম্মি ব্যক্তিদের তালিকা প্রদান করবে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হামাস প্রথমে তিন নারী জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে। তারা হলেন রোমি গোনেন, এমিলি দামানি এবং দোরোন স্টেনব্রিচার। ইসরায়েলও এই তিন নারী জিম্মির মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, এবং পরে বেলা ১১টায় যুদ্ধবিরতির কার্যকর হওয়ার ঘোষণা আসে।
গত শনিবার গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। তিন ধাপে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে এই চুক্তি, এবং প্রথম ধাপ হবে ৪২ দিনের। চুক্তি অনুযায়ী, তিনজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৩৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে প্রথম পর্যায়ে।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসরের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত হয়েছে। গাজায় গত ১৫ মাসের যুদ্ধে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।