ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সুন্দরবন দিবস আজ বসন্তের রঙে রাঙানো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল নিষিদ্ধ হবে: মির্জা ফখরুল বাজিতপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি সাকের, সাধারণ সম্পাদক ফাত্তাহ মির্জাপুরে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” এর পরিবর্তিত নাম “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” বোয়ালখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা কিশোরগঞ্জে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত নবীনগর প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি শান্তি, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল অবৈধভাবে পুকুর খননের মাটি বিক্রির অপরাধে দেড় লাখ টাকা জরিমানা মাগুরায় “ডেভিল হান্ট” অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ জন গ্রেপ্তার

কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দ না আসায় পরিবার নিয়ে অনাহারে আছেন ১১৮৯ জন শ্রমিক

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দ না আসায় উক্ত প্রকল্পে নিয়েজিত ১১শ ৮৯ জন শ্রমিক বা মুজদুর বেকার হয়ে পড়ায় তারা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে বলে কতিপয় শ্রমিকদের ভাষ্যে জানা গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি অর্থ বছরের জুলাই/আগস্ট মাসে কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দ আসতো। কিন্তু ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ৫ মাস পেরিয়ে জানুয়ারি মাসেও কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দ আসে নাই। ফলে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করতে না পারায় উপজেলার ১১শ ৮৯ জন শমিক বেকার হয়ে পড়েছে।

কর্মসৃজন প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি জন শ্রমিক প্রতিদিন ৪শত টাকা মজুরিতে প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪০ দিন, মোট ৮০ দিন কাজ করে ৩২,০০০ হাজার টাকা পেত।

কর্মসৃজন প্রকল্পের ঝাড়ঘরিয়া গ্রামের শ্রমিক মোছা. বেলী, নেপুন চন্দ্র মন্ডল, ফরিদা ও চকতাহের গ্রামের মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ না হওয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে জীবনযাপন করছেন। উপজেলায় কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রতি অর্থ বছরে ৮০ দিনে ১১শ ৮৯ জন শ্রমিক বা শ্রমিকদের জন্য ৩ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ আসতো। যা দিয়ে উপজেলায় দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলতো। বরাদ্দ না আসায় তা আজ বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয় এবং সংস্কারের জন্য টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের কোনো বরাদ্দ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত না আসায় অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় শতশত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে তারাও আর্থিক সংঙ্কটে পড়েছে।

উপরোক্ত বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কর্মসৃজন এবং কাবিখা-টিআর প্রকল্পের জুলাই/আগস্ট মাসে বরাদ্দ আসতো। কিন্তু ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বরাদ্দ না আসায় কোনো কাজ শুরু করা যায়নি। বরাদ্দ এলেই প্রকল্প গ্রহণ করে কাজ শুরু করে তা সমাপ্ত করা হবে বলেও তিনি জানান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

সুন্দরবন দিবস আজ

Verified by MonsterInsights

কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দ না আসায় পরিবার নিয়ে অনাহারে আছেন ১১৮৯ জন শ্রমিক

আপডেট সময় ০৮:৪৬:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দ না আসায় উক্ত প্রকল্পে নিয়েজিত ১১শ ৮৯ জন শ্রমিক বা মুজদুর বেকার হয়ে পড়ায় তারা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে বলে কতিপয় শ্রমিকদের ভাষ্যে জানা গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি অর্থ বছরের জুলাই/আগস্ট মাসে কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দ আসতো। কিন্তু ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ৫ মাস পেরিয়ে জানুয়ারি মাসেও কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দ আসে নাই। ফলে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করতে না পারায় উপজেলার ১১শ ৮৯ জন শমিক বেকার হয়ে পড়েছে।

কর্মসৃজন প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি জন শ্রমিক প্রতিদিন ৪শত টাকা মজুরিতে প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪০ দিন, মোট ৮০ দিন কাজ করে ৩২,০০০ হাজার টাকা পেত।

কর্মসৃজন প্রকল্পের ঝাড়ঘরিয়া গ্রামের শ্রমিক মোছা. বেলী, নেপুন চন্দ্র মন্ডল, ফরিদা ও চকতাহের গ্রামের মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ না হওয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে জীবনযাপন করছেন। উপজেলায় কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রতি অর্থ বছরে ৮০ দিনে ১১শ ৮৯ জন শ্রমিক বা শ্রমিকদের জন্য ৩ কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ আসতো। যা দিয়ে উপজেলায় দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলতো। বরাদ্দ না আসায় তা আজ বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয় এবং সংস্কারের জন্য টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের কোনো বরাদ্দ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত না আসায় অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় শতশত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে তারাও আর্থিক সংঙ্কটে পড়েছে।

উপরোক্ত বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কর্মসৃজন এবং কাবিখা-টিআর প্রকল্পের জুলাই/আগস্ট মাসে বরাদ্দ আসতো। কিন্তু ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বরাদ্দ না আসায় কোনো কাজ শুরু করা যায়নি। বরাদ্দ এলেই প্রকল্প গ্রহণ করে কাজ শুরু করে তা সমাপ্ত করা হবে বলেও তিনি জানান।