ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা  বগুড়া সোনাতলায় গন্ধগোকুল উদ্ধার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মেশিনারিজ ক্রয়ে মসিকের তিন কর্মকর্তা ইতালি ভ্রমণ কমলগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জের মধু মিয়া নামক এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কানাডার সহায়তা চাইলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের তোড়জোড় শুরু ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি সাফজয়ী ফুটবলার সুমাইয়াকে শর্ত সাপেক্ষে টঙ্গীতে সাদপন্থিদের ইজতেমা করার অনুমতি বিনা চাষ পদ্ধতিতে আলু উৎপাদনে সফলতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত জনপ্রশাসন সংস্কার প্রতিবেদন আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ

বগুড়া সোনাতলায় গন্ধগোকুল উদ্ধার

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৮:৫২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫০৫ বার পড়া হয়েছে

বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া থেকে একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করেছে জাতীয় পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর) এর সদস্যরা।

সোনাতলা সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়ায় গন্ধগোকুলটি আটক করে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে তীর কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শে তীরের সদস্য রাব্বি হাসান মোহন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করেন আবু মানাফ খান সৈকত এর সাথে এবং তিনি ঘটনাস্থলে শিমন আহমেদ বাদলকে পাঠিয়ে প্রাণীটি মারতে নিষেধ করে ও তার সহযোগিতায় বেলা ১২ ঘটিকায় তীরের সদস্যরা গিয়ে গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে সামাজিক বনবিভাগ বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তীরের সভাপতি হোসেন রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা ও সোনাতলা উপজেলার ফরেস্ট অফিসের জুলফিকার আলী।

তীরের সভাপতি মো. হোসেন রহমান জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত এবং জাতিসংঘের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন নেচারের (আইইউসিএন) মতে বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। নিশাচর এ প্রাণীটি একসময় প্রচুর পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রাণীটি তেমন চোখে পড়ে না।

তীরের সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা বলেন, গন্ধগোকুল নিশাচর খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ (তীর) উত্তরবঙ্গে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে জাতীয় পদক ‘এ ভূষিত হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

বগুড়া সোনাতলায় গন্ধগোকুল উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:৫২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া থেকে একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করেছে জাতীয় পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর) এর সদস্যরা।

সোনাতলা সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়ায় গন্ধগোকুলটি আটক করে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে তীর কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শে তীরের সদস্য রাব্বি হাসান মোহন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করেন আবু মানাফ খান সৈকত এর সাথে এবং তিনি ঘটনাস্থলে শিমন আহমেদ বাদলকে পাঠিয়ে প্রাণীটি মারতে নিষেধ করে ও তার সহযোগিতায় বেলা ১২ ঘটিকায় তীরের সদস্যরা গিয়ে গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে সামাজিক বনবিভাগ বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তীরের সভাপতি হোসেন রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা ও সোনাতলা উপজেলার ফরেস্ট অফিসের জুলফিকার আলী।

তীরের সভাপতি মো. হোসেন রহমান জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত এবং জাতিসংঘের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন নেচারের (আইইউসিএন) মতে বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। নিশাচর এ প্রাণীটি একসময় প্রচুর পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রাণীটি তেমন চোখে পড়ে না।

তীরের সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা বলেন, গন্ধগোকুল নিশাচর খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ (তীর) উত্তরবঙ্গে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে জাতীয় পদক ‘এ ভূষিত হয়।