ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের উপর হামলা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার ৩৫ কেজি বাঘাইড় মাছ ও ১৫ কেজি মিষ্টিতে পোড়াদহ মেলা আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনা রেলওয়ে সেতুতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডি মহাপরিদর্শক পল মার্টিন বরখাস্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করেছে: শশী থারুর বিনামূল্যে ক্যান্সার ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগামী অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যা মামলার রায়: আসিফ নজরুল পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমার সীমাহীন দুর্নীতি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প: পিডি উজ্জ্বল মল্লিক ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্লট হাতিয়ে নিয়েছে ময়মনসিংহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি সম্পাদকসহ সকলের শপদ ও দায়িত্ব গ্রহণ

বগুড়া সোনাতলায় গন্ধগোকুল উদ্ধার

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৮:৫২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া থেকে একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করেছে জাতীয় পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর) এর সদস্যরা।

সোনাতলা সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়ায় গন্ধগোকুলটি আটক করে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে তীর কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শে তীরের সদস্য রাব্বি হাসান মোহন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করেন আবু মানাফ খান সৈকত এর সাথে এবং তিনি ঘটনাস্থলে শিমন আহমেদ বাদলকে পাঠিয়ে প্রাণীটি মারতে নিষেধ করে ও তার সহযোগিতায় বেলা ১২ ঘটিকায় তীরের সদস্যরা গিয়ে গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে সামাজিক বনবিভাগ বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তীরের সভাপতি হোসেন রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা ও সোনাতলা উপজেলার ফরেস্ট অফিসের জুলফিকার আলী।

তীরের সভাপতি মো. হোসেন রহমান জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত এবং জাতিসংঘের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন নেচারের (আইইউসিএন) মতে বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। নিশাচর এ প্রাণীটি একসময় প্রচুর পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রাণীটি তেমন চোখে পড়ে না।

তীরের সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা বলেন, গন্ধগোকুল নিশাচর খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ (তীর) উত্তরবঙ্গে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে জাতীয় পদক ‘এ ভূষিত হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের উপর হামলা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

বগুড়া সোনাতলায় গন্ধগোকুল উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:৫২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া থেকে একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করেছে জাতীয় পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর) এর সদস্যরা।

সোনাতলা সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়ায় গন্ধগোকুলটি আটক করে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে তীর কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শে তীরের সদস্য রাব্বি হাসান মোহন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করেন আবু মানাফ খান সৈকত এর সাথে এবং তিনি ঘটনাস্থলে শিমন আহমেদ বাদলকে পাঠিয়ে প্রাণীটি মারতে নিষেধ করে ও তার সহযোগিতায় বেলা ১২ ঘটিকায় তীরের সদস্যরা গিয়ে গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে সামাজিক বনবিভাগ বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তীরের সভাপতি হোসেন রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা ও সোনাতলা উপজেলার ফরেস্ট অফিসের জুলফিকার আলী।

তীরের সভাপতি মো. হোসেন রহমান জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত এবং জাতিসংঘের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন নেচারের (আইইউসিএন) মতে বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। নিশাচর এ প্রাণীটি একসময় প্রচুর পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রাণীটি তেমন চোখে পড়ে না।

তীরের সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা বলেন, গন্ধগোকুল নিশাচর খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে। এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ (তীর) উত্তরবঙ্গে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে জাতীয় পদক ‘এ ভূষিত হয়।