ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল নিষিদ্ধ হবে: মির্জা ফখরুল বাজিতপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি সাকের, সাধারণ সম্পাদক ফাত্তাহ মির্জাপুরে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” এর পরিবর্তিত নাম “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” বোয়ালখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা কিশোরগঞ্জে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত নবীনগর প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি শান্তি, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল অবৈধভাবে পুকুর খননের মাটি বিক্রির অপরাধে দেড় লাখ টাকা জরিমানা মাগুরায় “ডেভিল হান্ট” অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ জন গ্রেপ্তার ফুলবাড়ীতে সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে অনগ্রসরদের অধিকতর অন্তর্ভুক্তি শীর্ষক কর্মশালা শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ঋতুরাজ বসন্ত বরণ উৎসব এর উদ্বোধন

বিনা চাষ পদ্ধতিতে আলু উৎপাদনে সফলতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আলু চাষের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে, যা দেশটির কৃষি খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এখন আলু কেবল তরকারির উপাদান নয়, এটি খাদ্যশৃঙ্খলে অন্যতম প্রধান ফসল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে দীর্ঘদিনের প্রচলিত চাষ পদ্ধতিতে মাটির গুণাগুণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় এ সমস্যা সমাধানে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক।

এ গবেষণা দল সংরক্ষণশীল চাষ পদ্ধতি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার) ও বিনা চাষ (জিরো টিলেজ) পদ্ধতিতে আলু চাষ করে প্রাথমিক সফলতা অর্জন করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিনা চাষে আলুর ফলন প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমে যাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

গবেষণাটি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চলমান। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল মাটির উর্বরতা বজায় রেখে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক হতে পারে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে আয়োজিত মাঠ গবেষণা পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান। তিনি জানান, গবেষণায় আলুর ‘বারি-৭ (ডায়মন্ড)’ জাত নিয়ে কাজ করা হয়েছে এবং তিনটি আলাদা চাষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিনা চাষ ও শতভাগ রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা পদ্ধতিতে ফলন প্রচলিত চাষের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ২ টন বেশি পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আশা করছেন, ২য় মৌসুমের ফলনও এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় আরও বেশি হবে। গবেষণায় সাফল্য আসলে, কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন এবং এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

Verified by MonsterInsights

বিনা চাষ পদ্ধতিতে আলু উৎপাদনে সফলতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

আপডেট সময় ০৭:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে আলু চাষের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে, যা দেশটির কৃষি খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এখন আলু কেবল তরকারির উপাদান নয়, এটি খাদ্যশৃঙ্খলে অন্যতম প্রধান ফসল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে দীর্ঘদিনের প্রচলিত চাষ পদ্ধতিতে মাটির গুণাগুণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় এ সমস্যা সমাধানে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক।

এ গবেষণা দল সংরক্ষণশীল চাষ পদ্ধতি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার) ও বিনা চাষ (জিরো টিলেজ) পদ্ধতিতে আলু চাষ করে প্রাথমিক সফলতা অর্জন করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিনা চাষে আলুর ফলন প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমে যাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

গবেষণাটি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চলমান। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল মাটির উর্বরতা বজায় রেখে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক হতে পারে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে আয়োজিত মাঠ গবেষণা পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান। তিনি জানান, গবেষণায় আলুর ‘বারি-৭ (ডায়মন্ড)’ জাত নিয়ে কাজ করা হয়েছে এবং তিনটি আলাদা চাষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিনা চাষ ও শতভাগ রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা পদ্ধতিতে ফলন প্রচলিত চাষের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ২ টন বেশি পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আশা করছেন, ২য় মৌসুমের ফলনও এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় আরও বেশি হবে। গবেষণায় সাফল্য আসলে, কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন এবং এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।