ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় নবীনগরে রিপন মুন্সির হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঝুঁকির মুখে কালনী এক্সপ্রেস, চালকের দক্ষতায় রক্ষা নবীনগরে ফসলি জমির মাটি কাটায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশ্বাস ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন শ্রম অধিদপ্তরের নতুন ডিজি এ কে এম তারিকুল আলম ডুয়েট প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসোসিয়েশন (ডেজা)’র উদ্যোগে মরহুম প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম খানের স্মরণে শোকসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত কোরবানির উপলক্ষে – বাবুগঞ্জে কামাররা ব্যস্ততা সময় পার করছে বারবার ভূল চিকিৎসায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ; ক্লিনিক বন্ধের দাবি সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী শিশুর মৃত্যু, চালকসহ আহত ৬ পাবিপ্রবি’র প্রথম জাতীয় কনফারেন্সের মাধ্যমে গবেষণার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে: ফারুক হোসেন চৌধুরী ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে বিএসএফের পুশইনকৃত ১২ বাংলাদেশী আটক

বিনা চাষ পদ্ধতিতে আলু উৎপাদনে সফলতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আলু চাষের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে, যা দেশটির কৃষি খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এখন আলু কেবল তরকারির উপাদান নয়, এটি খাদ্যশৃঙ্খলে অন্যতম প্রধান ফসল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে দীর্ঘদিনের প্রচলিত চাষ পদ্ধতিতে মাটির গুণাগুণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় এ সমস্যা সমাধানে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক।

এ গবেষণা দল সংরক্ষণশীল চাষ পদ্ধতি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার) ও বিনা চাষ (জিরো টিলেজ) পদ্ধতিতে আলু চাষ করে প্রাথমিক সফলতা অর্জন করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিনা চাষে আলুর ফলন প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমে যাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

গবেষণাটি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চলমান। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল মাটির উর্বরতা বজায় রেখে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক হতে পারে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে আয়োজিত মাঠ গবেষণা পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান। তিনি জানান, গবেষণায় আলুর ‘বারি-৭ (ডায়মন্ড)’ জাত নিয়ে কাজ করা হয়েছে এবং তিনটি আলাদা চাষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিনা চাষ ও শতভাগ রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা পদ্ধতিতে ফলন প্রচলিত চাষের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ২ টন বেশি পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আশা করছেন, ২য় মৌসুমের ফলনও এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় আরও বেশি হবে। গবেষণায় সাফল্য আসলে, কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন এবং এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

Verified by MonsterInsights

বিনা চাষ পদ্ধতিতে আলু উৎপাদনে সফলতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

আপডেট সময় ০৭:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে আলু চাষের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে, যা দেশটির কৃষি খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এখন আলু কেবল তরকারির উপাদান নয়, এটি খাদ্যশৃঙ্খলে অন্যতম প্রধান ফসল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে দীর্ঘদিনের প্রচলিত চাষ পদ্ধতিতে মাটির গুণাগুণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় এ সমস্যা সমাধানে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক।

এ গবেষণা দল সংরক্ষণশীল চাষ পদ্ধতি (কনজারভেশন এগ্রিকালচার) ও বিনা চাষ (জিরো টিলেজ) পদ্ধতিতে আলু চাষ করে প্রাথমিক সফলতা অর্জন করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিনা চাষে আলুর ফলন প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমে যাবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করবে।

গবেষণাটি বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চলমান। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল মাটির উর্বরতা বজায় রেখে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক হতে পারে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব খামার গবেষণাগারে আয়োজিত মাঠ গবেষণা পরিদর্শনকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান। তিনি জানান, গবেষণায় আলুর ‘বারি-৭ (ডায়মন্ড)’ জাত নিয়ে কাজ করা হয়েছে এবং তিনটি আলাদা চাষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিনা চাষ ও শতভাগ রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা পদ্ধতিতে ফলন প্রচলিত চাষের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ২ টন বেশি পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আশা করছেন, ২য় মৌসুমের ফলনও এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় আরও বেশি হবে। গবেষণায় সাফল্য আসলে, কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন এবং এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।