বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান প্রায়শই আলোচনায় উঠে আসে, বিশেষ করে রাশিয়ার প্রতি তার নমনীয় নীতি। ট্রাম্পের রাশিয়া নীতির কারণে তাকে পছন্দ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, এমনটিও শোনা যায়। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পুতিন এবং তার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার প্রত্যাশাও করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
বর্তমানে, ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি চান এবং এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার জন্য তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য প্রস্তুত। এ ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে, মার্কিন কর্মকর্তারা পুতিনের সঙ্গে বৈঠক আয়োজনের তোড়জোড় শুরু করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প শীঘ্রই পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চান এবং এটি হতে পারে সৌদি আরব কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে। রাশিয়ার দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বৈঠকটির স্থান নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এর আনুষ্ঠানিকতার সূচনা কবে হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ বছরের শেষ নাগাদ ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি এবং বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। পুতিনও ইউক্রেন এবং জ্বালানি ইস্যুতে আলোচনার জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর পরই রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করেছেন, যা এ বৈঠকের আভাসই দিচ্ছে।