নওগাঁর বদলগাছীতে আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম কম হওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে কৃষকদের ভাষ্যে জানা গেছে।
চলতি আলু মৌশুমে বদলগাছী উপজেলায় ৭ হাজার ৩শ ২০ (২ হাজার ৪শ ৪০ হেক্টর) বিঘা জমিতে দেশি পাকড়ী, কাটি লাল ও হলান্ড সাদা আলুসহ বিভিন্ন জাতের আলু চাষাবাদ করা হয়েছে। প্রতি বিঘায় দেশি পাকড়ী ৫০ মন এবং কাটিলাল ৬০মন ও হলান্ড সাদা আলু ৭০ থেকে ৮০ মন হারে উৎপাদন হয়েছে বলে ঝাড়ঘরিয়া গ্রামের কৃষক মো. ছিদ্দিক আলী বলেন।
একই গ্রামের কৃষক মো. ফজলুর রহমান, শ্রী অনিল চন্দ্র মন্ডলসহ অন্যান্য কৃষকরা বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদনে ২৫/৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তারা আরও বলে দেশি পাকড়ী আলু ৫০০ টাকা মন এবং কাটিলাল আলু ৩০০ টাকা মন, হলান্ড আলু ৪০০ টাকা মন দরে বেচাকেনা করা হচ্ছে। ফলে কৃষকরা লাভবান না হতে পেরে সার, কিটনাশকের বাকি পরিশোধ করা ও ইরি ধান চাষাবাদসহ সংসার পরিচালনা করা নিয়ে হতাশ হয়ে পরেছে।
বদলগাছী উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চাহিদার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদনজনিত কারণে এবং কৃষকদের আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় আলু বিক্রি করতে গিয়ে মূল্য কম পাচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, ২/৩ মাসের জন্য আলু সংরক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে বিক্রি করার জন্য তারা কৃষকদের পরামর্শও দিচ্ছেন।