ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সন্তান ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ নীলফামারীর এক গর্ভধারিণী মা মির্জাপুরে চার মাসে ৭৪ মামলায় ৮০ লাখ টাকা জরিমানা ধর্মপাশায় মোটর সাইকেল দিয়ে এক কৃষককে হত্যার ঘটনা তিনলাখ টাকায় ধামাচাপার চেষ্টা বাবুগঞ্জে বরফকলে অবৈধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম উৎপাদন; ৪০ হাজার টাকা জরিমানা। ফেনী জেলা ছাত্রদল কমিটির জন্য বিতর্কিত ও বিবাহিতদের দৌড়ঝাঁপ এলজিইডি পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জিত দে দুর্নীতিগ্রস্ত,হতে পারে যেকোনো শাস্তি মূলক ব্যবস্থা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আওয়ামী দোসর ও রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. নাশির উদ্দিনের নাম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করায় নিরেপক্ষ প্রকৌশলীদের আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি। আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের উদ্যোগে ১লা বৈশাখ বাংলা বর্ষবরন ১৪৩২ পালন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ এলজিইডি শাখার নির্বাহী কমিটির সদস্য,মীর্জা আজমের ঘনিষ্ঠ সহচর আওয়ামীপন্থী বিতর্কিত কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ ইসমত কিবরিয়ার নাম?  সওজে দরপত্র জালিয়াতি চক্র এখনো সোচ্চার — সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক বর্তমান সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে দূর্নীতিমুক্ত দ্রুত সেবা প্রদান ও এলজিইডির আরো জনমুখী অর্থাৎ   বাস্তব সম্মত প্রকল্প নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে–মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী,সচিব,স্হানীয় সরকার বিভাগ নবীনগরে পুলিশের উপস্থিতিতেই ডিজিএফআই পরিচয়ে অপহরণ, ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি: অবশেষে উদ্ধার

নবীনগরে পুলিশের উপস্থিতিতেই ডিজিএফআই পরিচয়ে অপহরণ, ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি: অবশেষে উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতেই সৌদি আরব প্রবাসী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মালুর ছেলে রিফাত মিয়াকে (১৯) অপহরণ করেছে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। নিজেদের ‘ডিজিএফআই’ এর সদস্য পরিচয় দিয়ে তারা রিফাতকে তুলে নিয়ে যায় এবং পরদিন পরিবারের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে ৭ এপ্রিল (সোমবার) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি হাইএস গাড়িতে করে আসা ১০-১২ জনের একটি দল প্রথমে প্রধান ফটকের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। তালা না ভাঙায় একজন দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেট খুলে দিলে বাকিরাও প্রবেশ করে বাড়ির আঙিনায় ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার আঁচ পেয়ে শহিদুল ইসলাম দ্রুত নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাককে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করার অনুরোধ করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, ওসি মাইকিং করতে নিষেধ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তারা দুর্বৃত্তদের কার্যক্রম প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়। পুলিশের সামনেই দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় এবং একপর্যায়ে রিফাত মিয়াকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

এইদিনই রাত ৩টার দিকে শহিদুল ইসলামের ফোনে অপহরণকারীরা কল করে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন ৮ এপ্রিল সকালে রিফাতের মায়ের ফোনে আবার কল দিয়ে মুক্তিপণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা দাবি করা হয়। অপহরণকারীরা নিজেদের ‘ডিজিএফআই’ সদস্য পরিচয় দেয়।

শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছি, মাইকিং করার কথা বলেছি, কিন্তু ওসি নিষেধ করেন। পুলিশ সামনে থেকেও কোনো বাধা দেয়নি। এখন আমার ছেলের জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।”

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মো. কামাল মিয়া, আবু কালাম আজাদ, কামাল খন্দকারসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, অপহরণকৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পুরোপুরি ঘটনাটি আমার জানা নেই তবে তদন্ত চলছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্তান ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ নীলফামারীর এক গর্ভধারিণী মা

Verified by MonsterInsights

নবীনগরে পুলিশের উপস্থিতিতেই ডিজিএফআই পরিচয়ে অপহরণ, ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি: অবশেষে উদ্ধার

আপডেট সময় ১২:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতেই সৌদি আরব প্রবাসী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মালুর ছেলে রিফাত মিয়াকে (১৯) অপহরণ করেছে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। নিজেদের ‘ডিজিএফআই’ এর সদস্য পরিচয় দিয়ে তারা রিফাতকে তুলে নিয়ে যায় এবং পরদিন পরিবারের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে ৭ এপ্রিল (সোমবার) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি হাইএস গাড়িতে করে আসা ১০-১২ জনের একটি দল প্রথমে প্রধান ফটকের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। তালা না ভাঙায় একজন দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেট খুলে দিলে বাকিরাও প্রবেশ করে বাড়ির আঙিনায় ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার আঁচ পেয়ে শহিদুল ইসলাম দ্রুত নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাককে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করার অনুরোধ করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, ওসি মাইকিং করতে নিষেধ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তারা দুর্বৃত্তদের কার্যক্রম প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়। পুলিশের সামনেই দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় এবং একপর্যায়ে রিফাত মিয়াকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

এইদিনই রাত ৩টার দিকে শহিদুল ইসলামের ফোনে অপহরণকারীরা কল করে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন ৮ এপ্রিল সকালে রিফাতের মায়ের ফোনে আবার কল দিয়ে মুক্তিপণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা দাবি করা হয়। অপহরণকারীরা নিজেদের ‘ডিজিএফআই’ সদস্য পরিচয় দেয়।

শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছি, মাইকিং করার কথা বলেছি, কিন্তু ওসি নিষেধ করেন। পুলিশ সামনে থেকেও কোনো বাধা দেয়নি। এখন আমার ছেলের জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।”

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মো. কামাল মিয়া, আবু কালাম আজাদ, কামাল খন্দকারসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, অপহরণকৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পুরোপুরি ঘটনাটি আমার জানা নেই তবে তদন্ত চলছে।