ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাজিতপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রকিবুল ইসলাম শিবলী আটক যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ সময়ের নির্বাহী সম্পাদকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা IRIDP-3 প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ এলজিইডি সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ,প্রধান প্রকৌশলী রুটিন দায়িত্ব ,এলজিইডি আদালতে যাওয়ার পথে হত্যা মামলার আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করতে আইএমএফের তাগাদা তাপস-মুন্নীর গানবাংলা টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে: নাহিদ ইসলাম ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তরুণদের দিয়ে বিএনপির কড়া সতর্ক বার্তা পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে: উপদেষ্টা  এম সাখাওয়াত হোসেন শ্রীমঙ্গলে প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন, ৪ দিন পরে গ্রেফতার প্রেমিক মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রমিতা দেবের মেধা ও সংগ্রামের জয়; পুলিশ কনস্টেবল পদে নির্বাচিত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে বিএফআইইউ

রাজবাড়ী সদরে কয়েক হাজার হেক্টর ধানের জমি পানির নিচে; হতাশায় কৃষক

বিগত বেশ কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৫০ ভাগ কৃষি জমি এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে ১৪৭১৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে।

বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি নিষ্কাশনের উপজেলার বেশিরভাগ শত বছরের সরকারি খালের উপর মাটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ সহ বিভিন্নভাবে খাল দখল হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে অনেক এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কালের বিবর্তনে দখল হওয়া সরকারী খালগুলো উদ্ধারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা যদি কোন কঠোর পদক্ষেপ না নেন তাহলে আগামীতে আমরা কৃষক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো সেই সাথে কৃষি কাজে নিরুৎসাহিত হবো। এক বিঘা জমির চাষ করতে বীজ, সার, শ্রমিক, পানি-সেচ সব মিলিয়ে প্রায় ফসলের প্রকারভেদে ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এত টাকা খরচ করে যদি ফসল ঘরে না আসে আমরা কৃষক শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো।

তবে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমির পানি নিস্কাশনে কাজ শুরু করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল আলমসহ ভূমি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান। ইতিমধ্যেই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জনি খান বাংলাদেশ সময়কে বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সে সব এলাকায় ধানের জমি তলিয়ে গেছে। ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় কয়েকটি ইউনিয়ন আমরা পরিদর্শন করেছি এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে কৃষকদের সাথে কথাও বলেছি।

গত ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাজবাড়ী জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম খানখানাপুর ইউনিয়নের মল্লিক ডাঙ্গা গ্রামে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমি পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বাংলাদেশ সময়কে বলেন, ভারী বৃষ্টিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে কৃষকের ধানের জমি তলিয়ে গেছে তথ্য পেয়ে কৃষি অফিসারকে অবগত করেছি। আমি এ বিষয়ে তৎপর আছি। দখল হয়ে যাওয়া সরকারি খাল পুনরায় খনন সহ জলবদ্ধতা দূরীকরণে ও পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে আমরা কাজ করছি, অতি দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাজিতপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রকিবুল ইসলাম শিবলী আটক

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

বাংলাদেশ সময়ের নির্বাহী সম্পাদকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা

IRIDP-3 প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

এলজিইডি সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ,প্রধান প্রকৌশলী রুটিন দায়িত্ব ,এলজিইডি

রাজবাড়ী সদরে কয়েক হাজার হেক্টর ধানের জমি পানির নিচে; হতাশায় কৃষক

আপডেট সময় ০৮:০৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

বিগত বেশ কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৫০ ভাগ কৃষি জমি এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে ১৪৭১৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে।

বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি নিষ্কাশনের উপজেলার বেশিরভাগ শত বছরের সরকারি খালের উপর মাটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ সহ বিভিন্নভাবে খাল দখল হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে অনেক এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কালের বিবর্তনে দখল হওয়া সরকারী খালগুলো উদ্ধারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা যদি কোন কঠোর পদক্ষেপ না নেন তাহলে আগামীতে আমরা কৃষক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো সেই সাথে কৃষি কাজে নিরুৎসাহিত হবো। এক বিঘা জমির চাষ করতে বীজ, সার, শ্রমিক, পানি-সেচ সব মিলিয়ে প্রায় ফসলের প্রকারভেদে ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এত টাকা খরচ করে যদি ফসল ঘরে না আসে আমরা কৃষক শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো।

তবে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমির পানি নিস্কাশনে কাজ শুরু করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল আলমসহ ভূমি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান। ইতিমধ্যেই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জনি খান বাংলাদেশ সময়কে বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সে সব এলাকায় ধানের জমি তলিয়ে গেছে। ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় কয়েকটি ইউনিয়ন আমরা পরিদর্শন করেছি এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে কৃষকদের সাথে কথাও বলেছি।

গত ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাজবাড়ী জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম খানখানাপুর ইউনিয়নের মল্লিক ডাঙ্গা গ্রামে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমি পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বাংলাদেশ সময়কে বলেন, ভারী বৃষ্টিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে কৃষকের ধানের জমি তলিয়ে গেছে তথ্য পেয়ে কৃষি অফিসারকে অবগত করেছি। আমি এ বিষয়ে তৎপর আছি। দখল হয়ে যাওয়া সরকারি খাল পুনরায় খনন সহ জলবদ্ধতা দূরীকরণে ও পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে আমরা কাজ করছি, অতি দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।