ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

রাজবাড়ী সদরে কয়েক হাজার হেক্টর ধানের জমি পানির নিচে; হতাশায় কৃষক

বিগত বেশ কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৫০ ভাগ কৃষি জমি এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে ১৪৭১৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে।

বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি নিষ্কাশনের উপজেলার বেশিরভাগ শত বছরের সরকারি খালের উপর মাটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ সহ বিভিন্নভাবে খাল দখল হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে অনেক এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কালের বিবর্তনে দখল হওয়া সরকারী খালগুলো উদ্ধারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা যদি কোন কঠোর পদক্ষেপ না নেন তাহলে আগামীতে আমরা কৃষক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো সেই সাথে কৃষি কাজে নিরুৎসাহিত হবো। এক বিঘা জমির চাষ করতে বীজ, সার, শ্রমিক, পানি-সেচ সব মিলিয়ে প্রায় ফসলের প্রকারভেদে ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এত টাকা খরচ করে যদি ফসল ঘরে না আসে আমরা কৃষক শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো।

তবে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমির পানি নিস্কাশনে কাজ শুরু করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল আলমসহ ভূমি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান। ইতিমধ্যেই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জনি খান বাংলাদেশ সময়কে বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সে সব এলাকায় ধানের জমি তলিয়ে গেছে। ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় কয়েকটি ইউনিয়ন আমরা পরিদর্শন করেছি এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে কৃষকদের সাথে কথাও বলেছি।

গত ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাজবাড়ী জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম খানখানাপুর ইউনিয়নের মল্লিক ডাঙ্গা গ্রামে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমি পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বাংলাদেশ সময়কে বলেন, ভারী বৃষ্টিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে কৃষকের ধানের জমি তলিয়ে গেছে তথ্য পেয়ে কৃষি অফিসারকে অবগত করেছি। আমি এ বিষয়ে তৎপর আছি। দখল হয়ে যাওয়া সরকারি খাল পুনরায় খনন সহ জলবদ্ধতা দূরীকরণে ও পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে আমরা কাজ করছি, অতি দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

রাজবাড়ী সদরে কয়েক হাজার হেক্টর ধানের জমি পানির নিচে; হতাশায় কৃষক

আপডেট সময় ০৮:০৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

বিগত বেশ কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৫০ ভাগ কৃষি জমি এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে ১৪৭১৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে।

বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি নিষ্কাশনের উপজেলার বেশিরভাগ শত বছরের সরকারি খালের উপর মাটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ সহ বিভিন্নভাবে খাল দখল হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে অনেক এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কালের বিবর্তনে দখল হওয়া সরকারী খালগুলো উদ্ধারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা যদি কোন কঠোর পদক্ষেপ না নেন তাহলে আগামীতে আমরা কৃষক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো সেই সাথে কৃষি কাজে নিরুৎসাহিত হবো। এক বিঘা জমির চাষ করতে বীজ, সার, শ্রমিক, পানি-সেচ সব মিলিয়ে প্রায় ফসলের প্রকারভেদে ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। এত টাকা খরচ করে যদি ফসল ঘরে না আসে আমরা কৃষক শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো।

তবে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমির পানি নিস্কাশনে কাজ শুরু করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল আলমসহ ভূমি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান। ইতিমধ্যেই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জনি খান বাংলাদেশ সময়কে বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সে সব এলাকায় ধানের জমি তলিয়ে গেছে। ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় কয়েকটি ইউনিয়ন আমরা পরিদর্শন করেছি এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে কৃষকদের সাথে কথাও বলেছি।

গত ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাজবাড়ী জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম খানখানাপুর ইউনিয়নের মল্লিক ডাঙ্গা গ্রামে তলিয়ে যাওয়া ধানের জমি পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বাংলাদেশ সময়কে বলেন, ভারী বৃষ্টিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে কৃষকের ধানের জমি তলিয়ে গেছে তথ্য পেয়ে কৃষি অফিসারকে অবগত করেছি। আমি এ বিষয়ে তৎপর আছি। দখল হয়ে যাওয়া সরকারি খাল পুনরায় খনন সহ জলবদ্ধতা দূরীকরণে ও পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে আমরা কাজ করছি, অতি দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।