ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বিএনপিতে কোনো বেয়াদবের জায়গা থাকবে না: হীরা মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে: মহসিন মিয়া মধু পাবনা জেল সুপারের মানবিকতায় কারাগার থেকে নিজ দেশে ফিরে গেলেন নেপালী যুবক পাবনায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মির্জাপুরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবক গ্রেপ্তার রমজানে ৫০০ জন রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে “মানুষের পাশে আমরা, যশোর” বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০ বিবেকের জাগরণ: কখন আসবে আমাদের চেতনার আলো? রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা বদলগাছীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছেন। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে কৌশলগতভাবে পাশে টানতে চাইছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার (০৮ মার্চ) বলেছেন, ভারত ও চীন বিশ্বের দু’টি বৃহৎ উন্নয়নশীল দেশ। উভয়ের উচিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় পুনর্জাগরণের দিকে মনোনিবেশ করা। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ না করে সহযোগিতা করতে পারি।”

ওয়াং ই আরও বলেন, “আমরা দুই প্রাচীন সভ্যতা, আমাদের মধ্যে যথেষ্ট প্রজ্ঞা ও সামর্থ্য রয়েছে যাতে আমরা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে পারি এবং ন্যায্য সমাধানের পথ বের করতে পারি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কখনোই সীমান্ত সমস্যার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা উচিত নয়। কিছু নির্দিষ্ট মতপার্থক্যকে সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে দেওয়া উচিত নয়।”

চীনের এই বার্তা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর বাণিজ্য নীতির মুখে চীন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায়। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, অতীতের সীমান্ত সংঘাত ও পারস্পরিক আস্থার ঘাটতি ভারতের জন্য চীনের এই কৌশলগত প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে। বিশেষ করে ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধ এবং ২০২০ সালের লাদাখ সংঘর্ষের স্মৃতি এখনো ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের মনে সতর্কতা সৃষ্টি করে রেখেছে। ২০২০ সালের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা ও চারজন চীনা সেনার মৃত্যু হয়, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

Verified by MonsterInsights

মার্কিন চাপের মুখে ভারতকে কাছে টানতে চাইছে চীন

আপডেট সময় ০৩:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে চীনের বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছেন। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে কৌশলগতভাবে পাশে টানতে চাইছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার (০৮ মার্চ) বলেছেন, ভারত ও চীন বিশ্বের দু’টি বৃহৎ উন্নয়নশীল দেশ। উভয়ের উচিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় পুনর্জাগরণের দিকে মনোনিবেশ করা। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ না করে সহযোগিতা করতে পারি।”

ওয়াং ই আরও বলেন, “আমরা দুই প্রাচীন সভ্যতা, আমাদের মধ্যে যথেষ্ট প্রজ্ঞা ও সামর্থ্য রয়েছে যাতে আমরা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে পারি এবং ন্যায্য সমাধানের পথ বের করতে পারি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কখনোই সীমান্ত সমস্যার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা উচিত নয়। কিছু নির্দিষ্ট মতপার্থক্যকে সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে দেওয়া উচিত নয়।”

চীনের এই বার্তা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর বাণিজ্য নীতির মুখে চীন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায়। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, অতীতের সীমান্ত সংঘাত ও পারস্পরিক আস্থার ঘাটতি ভারতের জন্য চীনের এই কৌশলগত প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে। বিশেষ করে ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধ এবং ২০২০ সালের লাদাখ সংঘর্ষের স্মৃতি এখনো ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের মনে সতর্কতা সৃষ্টি করে রেখেছে। ২০২০ সালের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা ও চারজন চীনা সেনার মৃত্যু হয়, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।