ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বিএনপিতে কোনো বেয়াদবের জায়গা থাকবে না: হীরা মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে: মহসিন মিয়া মধু পাবনা জেল সুপারের মানবিকতায় কারাগার থেকে নিজ দেশে ফিরে গেলেন নেপালী যুবক পাবনায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মির্জাপুরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবক গ্রেপ্তার রমজানে ৫০০ জন রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে “মানুষের পাশে আমরা, যশোর” বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০ বিবেকের জাগরণ: কখন আসবে আমাদের চেতনার আলো? রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা বদলগাছীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম

গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় ত্রাণবহর

ইসরায়েল যদি গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা প্রত্যাহার না করে, তাহলে তারা আবার নৌপথে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী।

শুক্রবার (০৭ মার্চ) হুথি নেতা আল-হুথি ঘোষণা দেন, ইসরায়েলকে চারদিনের সময় দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে বাধা না সরানো হলে তারা সামরিক অভিযানে ফিরে যাবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান সংঘাতের মধ্যস্থতাকারীরা এখন ত্রাণ প্রবেশে বাধা দূর করার বিষয়ে আলোচনা করছে। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হুথিরা আক্রমণ বন্ধ করেছিল, তবে নতুন এই আলটিমেটামের ফলে আবারো সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ইরান-সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। তারা দাবি করেছে, এসব হামলার উদ্দেশ্য গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা। সেই সময়ের মধ্যে হুথিরা দু’টি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়, একটি আটক করে এবং অন্তত চারজন নাবিককে হত্যা করে। এসব হামলার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেক শিপিং সংস্থা বিকল্প পথ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘ রুট ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।

আল-হুথি তার ঘোষণায় বলেন, “আমরা চার দিনের জন্য সময়সীমা দিচ্ছি। এই সময়সীমা মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার জন্য দেওয়া হচ্ছে। যদি চার দিন পরেও ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দেয় এবং সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখে, তাহলে আমরা নৌ অভিযান পুনরায় শুরু করব।”

গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যা নিয়ে হামাস মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে হামাস হুথিদের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং একে “সাহসী সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, এটি আগের সমর্থনেরই একটি সম্প্রসারিত রূপ, যা তারা গাজার জনগণের প্রতি দেখিয়ে আসছে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

Verified by MonsterInsights

ইসরায়েলকে ৪ দিনের আলটিমেটাম

আপডেট সময় ০৩:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

ইসরায়েল যদি গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা প্রত্যাহার না করে, তাহলে তারা আবার নৌপথে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী।

শুক্রবার (০৭ মার্চ) হুথি নেতা আল-হুথি ঘোষণা দেন, ইসরায়েলকে চারদিনের সময় দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে বাধা না সরানো হলে তারা সামরিক অভিযানে ফিরে যাবে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান সংঘাতের মধ্যস্থতাকারীরা এখন ত্রাণ প্রবেশে বাধা দূর করার বিষয়ে আলোচনা করছে। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হুথিরা আক্রমণ বন্ধ করেছিল, তবে নতুন এই আলটিমেটামের ফলে আবারো সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ইরান-সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। তারা দাবি করেছে, এসব হামলার উদ্দেশ্য গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা। সেই সময়ের মধ্যে হুথিরা দু’টি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়, একটি আটক করে এবং অন্তত চারজন নাবিককে হত্যা করে। এসব হামলার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেক শিপিং সংস্থা বিকল্প পথ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘ রুট ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।

আল-হুথি তার ঘোষণায় বলেন, “আমরা চার দিনের জন্য সময়সীমা দিচ্ছি। এই সময়সীমা মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার জন্য দেওয়া হচ্ছে। যদি চার দিন পরেও ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দেয় এবং সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখে, তাহলে আমরা নৌ অভিযান পুনরায় শুরু করব।”

গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যা নিয়ে হামাস মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে হামাস হুথিদের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং একে “সাহসী সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, এটি আগের সমর্থনেরই একটি সম্প্রসারিত রূপ, যা তারা গাজার জনগণের প্রতি দেখিয়ে আসছে।