মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখল করার এবং সেখানে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের প্রস্তাবের কয়েকদিন পর, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবকে সমর্থন করে তাদের মন্তব্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘সতর্কতা’ সহকারে শোনা উচিত এবং এটি একটি মৌলিক ধারণা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। নেতানিয়াহু জানান, তিনি মনে করেন, এই ধারণাটি নতুন এবং এটি দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তাবিত বিভিন্ন পরিকল্পনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অপরদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ প্রস্তাবের সমর্থনে বলেন, তিনি গাজার বাসিন্দাদের উপত্যকা থেকে স্বেচ্ছায় প্রস্থান করার সুযোগ দিতে সেনাবাহিনীকে পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের নতুন বাসস্থান হিসেবে বিশ্বব্যাপী যেকোনো দেশ নির্বাচন করতে পারবে। বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তারা স্থলপথ, আকাশপথ বা সমুদ্রপথে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। কাটজ স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ের মতো দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে বলেন, ফিলিস্তিনিরা এসব দেশে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
ট্রাম্প গাজা উপত্যকা দখলের পাশাপাশি এটি ‘মধ্যপ্রাচ্যের মনোরম স্থান’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তার এই প্রস্তাবটি বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে এবং ফিলিস্তিনিরা সেখানে নতুন ও আধুনিক বাড়িতে পুনর্বাসিত হবে। তিনি দাবি করেন, এতে মার্কিন সৈন্যদের কোনো প্রয়োজন হবে না।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অবস্থা এবং ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে এই সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র আলোচনা চলছে। বিশেষভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এই প্রস্তাবের প্রভাব ও সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে।