ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বিএনপিতে কোনো বেয়াদবের জায়গা থাকবে না: হীরা মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে: মহসিন মিয়া মধু পাবনা জেল সুপারের মানবিকতায় কারাগার থেকে নিজ দেশে ফিরে গেলেন নেপালী যুবক পাবনায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মির্জাপুরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবক গ্রেপ্তার রমজানে ৫০০ জন রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে “মানুষের পাশে আমরা, যশোর” বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০ বিবেকের জাগরণ: কখন আসবে আমাদের চেতনার আলো? রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা বদলগাছীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীকে বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করছে

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীদেরও সামরিক চাকরিতে বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির ইয়াঙ্গুন অঞ্চলে নারীদের নিবন্ধন করে সামরিক চাকরির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, যা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানায়।

এবছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায়, বিশেষ করে হ্লাইং থারিয়ার টাউনশিপের মতো শিল্প অঞ্চলের কর্মজীবী নারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব নারীকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হবে। মিয়ানমারের বৃহত্তম শিল্প এলাকা হ্লাইং থারিয়া টাউনশিপে লক্ষ লক্ষ নারী কারখানায় কাজ করেন এবং তাদের বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত হবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুরানো সেনা নিয়োগ আইন বাতিল করার পর, মিয়ানমারের জান্তা সরকার পুরুষ নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে, রাজ্যভিত্তিক অভিযান ও গৃহস্থলীতে তল্লাশি অভিযান চলিয়ে, জান্তা সরকারের সেনারা তরুণ-তরুণীদের অপহরণ করছে এবং তাদেরকে সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে। মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, জানুয়ারি মাসে ম্যান্ডালয়ে ২৩৭ জন মানুষকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।

বৃহত্তর যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের অংশ হিসেবে, জান্তা সরকার মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে নাগরিকদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে চাইছে, যাতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী গুলোর মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। এছাড়া, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি গোষ্ঠী নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, যা মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীদের অপহরণ করে যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়ানো এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

Verified by MonsterInsights

মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীকে বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করছে

আপডেট সময় ০৫:২৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীদেরও সামরিক চাকরিতে বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির ইয়াঙ্গুন অঞ্চলে নারীদের নিবন্ধন করে সামরিক চাকরির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, যা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানায়।

এবছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায়, বিশেষ করে হ্লাইং থারিয়ার টাউনশিপের মতো শিল্প অঞ্চলের কর্মজীবী নারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব নারীকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হবে। মিয়ানমারের বৃহত্তম শিল্প এলাকা হ্লাইং থারিয়া টাউনশিপে লক্ষ লক্ষ নারী কারখানায় কাজ করেন এবং তাদের বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত হবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুরানো সেনা নিয়োগ আইন বাতিল করার পর, মিয়ানমারের জান্তা সরকার পুরুষ নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে, রাজ্যভিত্তিক অভিযান ও গৃহস্থলীতে তল্লাশি অভিযান চলিয়ে, জান্তা সরকারের সেনারা তরুণ-তরুণীদের অপহরণ করছে এবং তাদেরকে সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে। মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, জানুয়ারি মাসে ম্যান্ডালয়ে ২৩৭ জন মানুষকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।

বৃহত্তর যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের অংশ হিসেবে, জান্তা সরকার মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে নাগরিকদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে চাইছে, যাতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী গুলোর মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। এছাড়া, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি গোষ্ঠী নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, যা মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণীদের অপহরণ করে যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়ানো এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।