মজিবুর রহমান সরোয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে প্রায় ২০ বছর বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন মজিবুর রহমান সরোয়ার। বরিশাল সদর আসনের চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র ও জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ সময়কে এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সত্তরের অনুচ্ছেদ পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা। যে বিষয়ে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবও বলেছেন। এই অনুচ্ছেদে এমপিদের বাকস্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে বিগত দিনে এই চর্চাটা হয় নাই।’
তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পার্লামেন্টেরিয়াল সরকার ব্যবস্থা করেছেন। সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করি একটা কিন্তু ঘটে আরেকটা। দল যখন ক্ষমতায় আসে তখন আর ওই দিকে আমরা কেউ তাকাই না। সবচেয়ে দুঃখজনক কথা হচ্ছে জনগনের সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে আত্মসমর্পণ করা। লাখো মানুষের প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা রাষ্ট্রের কাছে সারেন্ডার করলো। গণতন্ত্র থাকলে আজকে জেনারেল আজিজ, বেনজীর, সালমান এফ রহমান বা এস আলম গ্রুপ সৃষ্টি হতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনা সরকারের ভোটার বিহীন ভোটের কারণে রাষ্ট্রের কাছে জনগণের সরকার সারেন্ডার করতে হলো। রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিগত সরকার বলেছিল আপনারা আমাদের ভোট করে দেন। এগুলো করে প্রত্যকটা সরকারী প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। সবাই যার যার মত চলেছে জবাবদিহিতা ছিল না। বিগত দিনে সংসদের শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় আওয়ামী শাসনামলে দুর্নীতি ও দুঃশাসন বেড়ে গিয়েছিল। এই মুহূর্তে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ নির্বাচনী আইনের বিষয়ে ভাবতে হবে। বিগত সময়ে ভোটারদের কাছে না গিয়ে ভোট পাহারাদারদের নিকট ছিল বিগত দিনের আওয়ামী লীগের অবৈধ ভোটের এমপিরা।’
তিনি ৫ আগস্ট ২০২৪ কে স্মরণ করে বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা এয়ার বেজ দেখেছি। আর ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে তা দেখলাম।