আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে। তবে, নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ বর্তমানে ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫.৭৩ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৫৭৩ কোটি মার্কিন ডলার। তবে আইএমএফের বিপিএম-৬ হিসাব অনুসারে, ২০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।
গত মাসের শুরুর দিকে, অর্থাৎ ২ অক্টোবর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪.৭৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ১৯.৭৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, গত এক মাসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যথেষ্ট বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক এর নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাবও রয়েছে, যা শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয় এবং সাধারণত এটি কোথাও প্রকাশ করা হয় না। সূত্র জানায়, ৬ নভেম্বর পর্যন্ত নিট রিজার্ভ (এনআইআর) ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।
তবে, অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, দেশে অন্তত ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে, ৫ বিলিয়ন ডলার মাসিক ব্যয় দিয়ে, বর্তমানে দেশের নিট রিজার্ভ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেন, “রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে, যার ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আশা করছি, রেমিট্যান্স প্রবাহ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।”
বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তবে, দেশের অর্থনীতির জন্য কিছু সতর্কতা সত্ত্বেও, রিজার্ভের এই উন্নতি বাংলাদেশের পক্ষে ইতিবাচক সূচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।