চলমান ওডিআই সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দল জয় থেকে অনেকটাই দূরে থেকে হতাশাজনক পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই ২৩৫ রানে অলআউট হয়।
দলের হয়ে মোহাম্মদ নবি করেন সর্বোচ্চ ৮৪ রান এবং হাশমতউল্লাহ শাহিদি ৫০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ এবং মোস্তাফিজুর রহমান প্রত্যেকেই ৪টি করে উইকেট দখল করেন, যা আফগানিস্তানকে বড় স্কোর গড়তে বাধা দেয়।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ দল শুরুতেই চাপে পড়ে, ওপেনার তানজিদ তামিম দ্রুত আউট হন। এরপর সৌম্য সরকার এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৩ রানের জুটি গড়ে কিছুটা স্থিতি আনেন। সৌম্য করেন ৩৩ রান, আর শান্ত দলের সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ১৩১ রানে ৩ উইকেট থাকা বাংলাদেশকে জয়ের কাছাকাছি মনে হলেও, শান্তর বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় নামে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
আফগানিস্তানের বোলার আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে তছনছ করে দেন। তার ক্যারম বল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রমাণিত হয়। তিনি একাই ৬টি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে মাত্র ৩৪.৩ ওভারে গুটিয়ে দেন। এই পরাজয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্বলতা এবং চাপের মুহূর্তে নৈপুণ্য হারানোর সমস্যা প্রকটভাবে প্রকাশিত হয়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই পরাজয়ে টাইগারদের স্বপ্ন ভেঙে গেল এবং সিরিজে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হলো। শেষ মুহূর্তের এই ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলাদেশ দলকে চাপের মুখে ফেলেছে এবং পরবর্তী ম্যাচগুলোতে নিজেদের পারফর্মেন্স উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে।