ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা মিঠাপুকুরে জোরপূর্বক কৃষকের জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন: জনমনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা শ্রীমঙ্গলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক- ৬ যশোরে টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার ওজন নিয়ে সমালোচনার জবাবে সোজাসাপটা জবাব দিলেন সামান্থা সংসার করতে চান বাঁধন, একান্ত সঙ্গীর খোঁজে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন বাইডেন ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব সিদ্দিকী গ্রেপ্তার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

ওয়াসার এমডির সাথে রিহ্যাব নেতাদের বৈঠক, ৫ দফা দাবি

নির্মাণাধীন ভবনে ওয়াসা বিলের হয়রানি বন্ধ এবং নতুন ট্যারিফ এর দাবিতে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমানের সাথে বৈঠক করেছেন রিহ্যাব নেতারা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ওয়াসা কার্যালয়ে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রিহ্যাব এর পক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিনিধিত্ব করেন।

বৈঠকে রিহ্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. আব্দুল লতিফ এবং রিহ্যাব পরিচালক ইঞ্জি. মহসিন মিয়া, মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্ ও মোঃ আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ৫ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ওয়াসা বিলে দুইটি ট্যারিফ রয়েছে অর্থাৎ আবাসিক ও বাণিজ্যিক। নির্মাণাধীন প্রকল্পে বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধ করতে হয়, কিন্তু নির্মাণাধীন প্রকল্পের পানি ব্যবহার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার একই ধরনের নয়। এজন্য নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য আবাসিক ও বাণিজ্যিক ট্যারিফের মাঝামাঝি রেট নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।

মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খালি প্লটে নির্মাণকালীন সময়ে সুয়ারেজ লাইন থাকে না এবং পুরাতন স্থাপনা ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণকালীন সময়ে সুয়ারেজ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ঐ সময়ে অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা হয়। এসব ক্ষেত্রে যেখানে ব্যবহৃত পানি সুয়ারেজ লাইনে প্রবেশের কোন সুযোগ থাকে না তথাপি ওয়াসাকে নির্মাণকালীন সময়ে সুয়ারেজ ব্যবহার না করেও দ্বিগুণ হারে বিল পরিশোধ করতে হয় যা যুক্তিযুক্ত নয়। নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য সুয়ারেজ বাদে বিল ইস্যু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

আবাসিক বাড়ি ভেঙে নির্মাণ কাজ শুরু করলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাণিজ্যিক রেটে মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল ইস্যু করে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষে আবাসিক হিসেবে ব্যবহার শুরু করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবাসিক বিল ইস্যু করা হয় না। এক্ষেত্রে আবাসিকে রূপান্তরের জন্য আবেদন করলে ছাদ মাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করে গ্রাহককে হয়রানি করা হয় ও অবৈধ সুবিধা দাবি করা হয় এবং উক্ত দাবি পূরণ না করলে মাসের পর মাস বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধে বাধ্য করা হয় যা কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।

অতএব, নির্মাণ কাজ শেষে ভবনের ছাদমাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করার বিষয়টি বাতিল করার জন্য দাবি জানান রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট।

বর্তমানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত মিটারগুলো খুবই নিম্নমানের অসাধু রিডিংম্যান এই সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো বিল ধরিয়ে দেয় অথবা কিছু অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে রিডিং কম দেখিয়ে বিল ইস্যু করেন এবং এতে সরকার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি গ্রাহকগণও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানানো হয়।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে সকল এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সে সকল এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে নির্মাণ কাজ করলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমত বিল ইস্যু করে এবং উক্ত বিল পরিশোধ করতে হয়। যেহেতু এখানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কোন লাইনই নাই সেহেতু কোনভাবেই এই বিল করা যুক্তিযুক্ত নয়। অতএব যে সকল এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সে সকল এলাকায় ওয়াসা বিল না করার নির্দেশ প্রদানের জন্য দাবি জানান রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমান আন্তরিকার সাথে রিহ্যাব নেতাদের দাবি শুনেন। তিনি বলেন, ওয়াসার নতুন বোর্ড গঠিত হলে বিয়টি এজেন্ডা আকারে উপস্থাপন করবেন এবং সন্তোষজনক সমাধানের ব্যবস্থা নিবেন বলে রিহ্যাবকে জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা

ওয়াসার এমডির সাথে রিহ্যাব নেতাদের বৈঠক, ৫ দফা দাবি

আপডেট সময় ০৫:০১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

নির্মাণাধীন ভবনে ওয়াসা বিলের হয়রানি বন্ধ এবং নতুন ট্যারিফ এর দাবিতে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমানের সাথে বৈঠক করেছেন রিহ্যাব নেতারা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ওয়াসা কার্যালয়ে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রিহ্যাব এর পক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিনিধিত্ব করেন।

বৈঠকে রিহ্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. আব্দুল লতিফ এবং রিহ্যাব পরিচালক ইঞ্জি. মহসিন মিয়া, মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্ ও মোঃ আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ৫ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ওয়াসা বিলে দুইটি ট্যারিফ রয়েছে অর্থাৎ আবাসিক ও বাণিজ্যিক। নির্মাণাধীন প্রকল্পে বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধ করতে হয়, কিন্তু নির্মাণাধীন প্রকল্পের পানি ব্যবহার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার একই ধরনের নয়। এজন্য নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য আবাসিক ও বাণিজ্যিক ট্যারিফের মাঝামাঝি রেট নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।

মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খালি প্লটে নির্মাণকালীন সময়ে সুয়ারেজ লাইন থাকে না এবং পুরাতন স্থাপনা ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণকালীন সময়ে সুয়ারেজ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ঐ সময়ে অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা হয়। এসব ক্ষেত্রে যেখানে ব্যবহৃত পানি সুয়ারেজ লাইনে প্রবেশের কোন সুযোগ থাকে না তথাপি ওয়াসাকে নির্মাণকালীন সময়ে সুয়ারেজ ব্যবহার না করেও দ্বিগুণ হারে বিল পরিশোধ করতে হয় যা যুক্তিযুক্ত নয়। নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য সুয়ারেজ বাদে বিল ইস্যু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

আবাসিক বাড়ি ভেঙে নির্মাণ কাজ শুরু করলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাণিজ্যিক রেটে মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল ইস্যু করে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষে আবাসিক হিসেবে ব্যবহার শুরু করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবাসিক বিল ইস্যু করা হয় না। এক্ষেত্রে আবাসিকে রূপান্তরের জন্য আবেদন করলে ছাদ মাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করে গ্রাহককে হয়রানি করা হয় ও অবৈধ সুবিধা দাবি করা হয় এবং উক্ত দাবি পূরণ না করলে মাসের পর মাস বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধে বাধ্য করা হয় যা কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।

অতএব, নির্মাণ কাজ শেষে ভবনের ছাদমাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করার বিষয়টি বাতিল করার জন্য দাবি জানান রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট।

বর্তমানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত মিটারগুলো খুবই নিম্নমানের অসাধু রিডিংম্যান এই সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো বিল ধরিয়ে দেয় অথবা কিছু অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে রিডিং কম দেখিয়ে বিল ইস্যু করেন এবং এতে সরকার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি গ্রাহকগণও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানানো হয়।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে সকল এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সে সকল এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে নির্মাণ কাজ করলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমত বিল ইস্যু করে এবং উক্ত বিল পরিশোধ করতে হয়। যেহেতু এখানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কোন লাইনই নাই সেহেতু কোনভাবেই এই বিল করা যুক্তিযুক্ত নয়। অতএব যে সকল এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সে সকল এলাকায় ওয়াসা বিল না করার নির্দেশ প্রদানের জন্য দাবি জানান রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমান আন্তরিকার সাথে রিহ্যাব নেতাদের দাবি শুনেন। তিনি বলেন, ওয়াসার নতুন বোর্ড গঠিত হলে বিয়টি এজেন্ডা আকারে উপস্থাপন করবেন এবং সন্তোষজনক সমাধানের ব্যবস্থা নিবেন বলে রিহ্যাবকে জানান।